ঢাকা: ললিপপ। কাঠির মাথায় এক থোকা ক্যান্ডি।
সত্যি যদি এমন হয়, তাহলে আগে থেকেই বলে রাখছি, অবাক হওয়ার বা আঁতকে ওঠার কিছু নেই। এই গোল্ডফিশ, ব্যাঙ বা আজগর সাপ ক্যান্ডি দিয়েই তৈরি। শুধু তৈরি বললে ভুল হবে, এটি একটি শিল্পও বটে। আর এ শিল্পের নাম আমেজাইকু্।
জাপানের প্রাণী আকৃতির ঐতিহ্যবাহী ললিপপ তৈরির এ শিল্পটির শুরু অষ্টম শতাব্দীতে অর্থাৎ ১২শ’ বছরের পুরোনো।
আগে গরম ক্যান্ডিতে হাত দিয়েই বিভিন্ন প্রাণীর আদল ফুটিয়ে তোলা হতো। বর্তমানে হাত ছাড়াও চিমটা, কাঁচি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যবহৃত হয়। সবশেষে ফিনিশিংয়ের জন্য রঙ দেওয়া হয়।
পুরো ললিপপ তৈরির পর দেখে মনে হয়, যেন জ্যান্ত প্রাণীটিই হাতের মুঠোয়!
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমেজাইকু ললিপপ তৈরির কারিগরের সংখ্যা কমে গেলেও, স্বল্পসংখ্যক কয়েকজন কারিগরের প্রচেষ্টায় শিল্পটি আজও বেঁচে রয়েছে। এদের মধ্যে শিনরি তেজুকা একজন।
২৬ বছর বয়সী এ শিল্পী ২০১৩ সালে টোকিওর তাইতো ক্যুতে ‘আমেশিন’ নামে একটি দোকান খোলেন। যেখানে এ ধরনের অ্যানিমেল কনফেকশনারি বিক্রি করা হয়।
শিনরির দোকানে চিনির সিরা ও উদ্ভিজ্জ রঙ দিয়ে তৈরি এসব ললিপপ পাওয়া যাবে প্রতিটি এক হাজার থেকে দুই হাজার ইয়েনে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে ৬শ’ টাকা থেকে এক হাজার ৩শ’ টাকা। শুধু তাই নয়, শিনরির কাছে আগ্রহীদের আমেজাইকু শেখার সুযোগও রয়েছে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
বাংলাদেশ সময়: ০১০৪ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৫
এসএস