তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশেই চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ।
দেশের সব জায়গায় পথে-ঘাটে কমবেশি ডাব পাওয়া যায়। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার অলিগলিতে ডাব বিক্রেতার দেখা মেলে। গরমে তৃষা মেটাতে রাস্তার পাশের বাহারি খোলা পানির শরবত না খেয়ে একটি ডাব শরীরের জন্য অনেক উপকারী। রাস্তার পাশে যে পানি দিয়ে শরবত তৈরি করা হয় তা অনেকাংশই বিশুদ্ধ নয়, এতে আপনার শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে পানিবাহিত রোগ।
ডাবের পানি স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী, তেমনি ত্বকের জন্যেও। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডাবের পানিতে প্রচুর প্রাকৃতিক উপদান রয়েছে। যা ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে, শরীরে পানিশূন্যতা পূরণ করে। পানিশূন্যতা পূরণে কচি ডাবের পানির বিকল্প নেই। একটি ডাবের পানিতে রয়েছে চারটি কলার সমান পটাশিয়াম।
শরীরে প্রচুর পরিমাণে ঘাম ঝরা, ডায়রিয়া অথবা বমির পর শরীরে পানিশূন্যতা দূর করতে ডাবের পানিকে খাবার স্যালাইনের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। একটি সাধারণ কচি ডাবে আকার ভেদে ২০০ থেকে এক হাজার মিলিলিটার পানি থাকতে পারে। যার ৯৫ শতাংশই পানি। আর সোডেয়াম, পটাশিয়াম ও অন্যান্য লবণের পরিমাপ স্থানভেদে একেক রকম।
সাধারণত এক লিটার ডাবের পানিতে পটাশিয়াম রয়েছে ৩৫ থেকে ৮২ মিলিমোল, সোডিয়াম শূন্য দশমিক ৭ থেকে দশমিক ৯ মিলিমোল ও শর্করা ১ দশমিক ২ থেকে ২ দশমিক ৮ মিলিমোল।
এই গরমে অনেকে তৃষা মেটাতে বিভিন্ন ধরনের কোমল পানীয় খান। এটিও শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিপরীতে একটি ডাব আপনার শরীরের নানা পুষ্টি সরবরাহ করে শরীর ও মনকে সুস্থ রাখে।
স্বাস্থ্য গবেষকদের দাবি, যারা শীররচর্চা করেন এবং প্রচুর ঘাম ঝরান, তারা এক চিমটি লবণ মিশিয়ে ডাবের পানি খেলে স্পোর্টস ড্রিংকের তুলনায় অনেক বেশি উপকার পান। সাধারণত যারা ঘরের বাইরে অনেক পরিশ্রম করেন তাদের জন্যও ডাবের পানি খুব প্রয়োজনীয়।
ডাবের পানি শুধু শরীরের জন্য উপকারী নয়, ত্বক সুন্দর রাখতেও ডাবের পানির গুরুত্ব অনেক। অতিরিক্ত গরম, রোদের তাপ ত্বকের ওপর যে প্রভাব ফেলে এ অবস্থায় ডাবের পারি আপনাকে দেবে সতেজতা। এছাড়া ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয় ও লোমকূপগুলোতে জমে থাকা ময়লা উঠে আসে। ফলে চেহারায় উজ্জ্বলতা বাড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৫
এএ