ঢাকা: জীবনে নিজের লক্ষ্য বা কাজের পরিকল্পনা কাউকে বলবেন না। এতে সফলতার হার কমে যায়।
বিভিন্ন মনস্তাত্ত্বিক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও লক্ষ্য স্থির করার পর যদি তা অন্যদের জানানো হয় এবং অন্যরা যদি সে পরিকল্পনার বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেন, তাহলে কাজটি সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে ব্যক্তির কর্মস্পৃহা কমে যায়।
এর কারণ হিসেবে গবেষকরা জানান, যখনই অন্যরা পরিকল্পনার বিষয়ে একমত প্রকাশ করেন, তখন কাজটি সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই মস্তিষ্ক সেটিকে বাস্তব রূপে আখ্যা দেয়। ফলে কাজ সম্পূর্ণ করার স্বাভাবিক তাড়না ব্যক্তির মধ্যে কাজ করে না।
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যপক পিটার গোলউইতজার ১৯৮২ সাল থেকে এ বিষয়ে গবেষণা করছেন। গবেষণায় তিনি ৬৩ জন ব্যক্তির উপর চারটি ভিন্ন ভিন্ন পরীক্ষা চালান।
পরীক্ষায় দেখা যায়, যারা নিজেদের কাজের পরিকল্পনা ও লক্ষ্য গোপন রেখেছেন, তারা সাফল্যের দিক থেকে যারা নিজেদের লক্ষ্য অন্যদের কাছে প্রকাশ করেছেন, তাদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন।
এর কারণ হিসেবে বলা যায়, কথা ও কাজ এ দু’টোই মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায়। ফলে দু’টোর মধ্যে একটির সংকেত যখন মস্তিষ্কে পৌঁছায়, তখন অপরটি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, লক্ষ্য বা পরিকল্পনা অন্যকে বলার পর মস্তিষ্কে এক প্রকার পরিতৃপ্তি কাজ করে। ফলে পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যক্তির পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে ঢিলেমি দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে পুরো কাজটিই থেকে যায় অসম্পূর্ণ।
বাংলাদেশ সময়: ০১২২ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৫
এসএস