সাভার (ঢাকা): `আমি বিদেশি ফল বেচি না। তয় মূলধন কম থাকায় ব্যবসাডা বড় আকারে করতে পারতাছিনা।
এসব কথা বলছিলেন বরিশাল জেলার পিরোজপুর থানার জাহেদুল ইসলাম (৩৭)। তিনি সাভার থানা বাসস্টান্ডে বিক্রি করেন কচি তালের শাঁস। এ ব্যবসার ওপর নির্ভর করেই বর্তমানে চলছে তার জীবন-জীবিকা।
একটি পুরান ভ্যান ক্রয় করে আর সামান্য কিছু পুঁজি নিয়ে ব্যবসা জুড়ে দিয়েছেন জাহেদুল। এ ভ্যানে করেই ধীরে ধীরে সম্প্রসারিত হচ্ছে তার ফলের ব্যবসা।
সাধারণত সাভারের গেন্ডা এলাকার কাঁচামালের আরত থেকে জাহেদুল কাঁচা তাল সংগ্রহ করে থাকেন। মাঝে মাঝে সুবিধা মতো সাভার এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকেও তাল সংগ্রহের কাজটি করেন।
ভেজালের আশঙ্কা না থাকায় মানুষ কচি তালশাঁস খুবই পছন্দ করেন। দিনে প্রায় ২৫০-৩০০ পিস কচি তাল বিক্রি করেন তিনি। একটি তালে ২/৩টি শাঁস থাকে। প্রতিটি তাল বিক্রি করেন ১৫ থেকে ২০ টাকা।
প্রচণ্ড গরমে এ তালশাঁস মানুষের তৃষ্ণা মেটায়। খেতে নরম ও সুস্বাদু হওয়ায় মানুষের এ ফলের প্রতি আগ্রহও যথেষ্ট। ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকায় সব শ্রেণীর মানুষকেই তীব্র উৎসাহ নিয়ে তালশাঁস খেতে দেখা যায়।
সৌদি প্রবাসী নাজনীন বাংলানিউজকে বলেন, আমি এই তালশাঁস খুবই পছন্দ করি। প্রতি বছর এ সময় দেশের বাইরে থাকার কারণে আমি এটি ভীষণ মিস করি। এবার তাই ঠিক করেছি এই ফলটা যতো দিন বাজারে পাওয়া যাবে, ততো দিনই কিছু কিছু করে খেয়ে ইচ্ছে মেটাবো।
এ ফল বিক্রির অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইলে জাহেদুল বলেন, ‘ভাই আমি আমার এক বছরে ফল বেচার অভিজ্ঞতায় দেখছি-শহরের মানুষ দেশি ফল বেশি খাইতে চায়। আর এই দেশি ফল খুব সহজে পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলেও দামটা একটু বেশি পড়ে। ’
তিনি বলেন, ‘যে ফল সচরাচর ফলের দোকানে দ্যাখা যায় না। ওইসব ফলই আমি বেচি। ’
বিভিন্ন মৌসুমে বিচিকলা, ডাব, আমড়া, কামরাঙ্গা, বড়ই ইত্যাদি ফলও বিক্রি করেন বলে জানান তালশাঁস বিক্রেতা জাহেদুল।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫০ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৫
টিআই