ঢাকা: মারিয়ান ও মিশেল বার্নার্ড। কৃষ্ণাঙ্গী দুই জমজ শিশুর বয়স মাত্র ছয়মাস।
সম্প্রতি হাইতির এই জোড়া জমজ কন্যা শিশুকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সফলভাবে আলাদা করা সম্ভব হয়েছে। হাইতিতে টানা সাতঘণ্টা অপারেশনের পর তাদের আলাদা করেছেন ডাক্তারেরা।
ক্যারিবিয়ান দ্বীপে এ ধরনের অস্ত্রোপচার এটাই প্রথম। লস এঞ্জেলেস শিশু হাসপাতাল ও ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিয়ফোর্নিয়ার চিকিৎসক ও নার্সের ১৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম এ অস্ত্রোপচার করেছেন। পুরো কার্যক্রমটির প্রধান তক্তাবধায়ক ছিলেন হাইতির শল্য চিকিৎসক হেনরি ফর্ড।
অস্ত্রোপচারের সময় জমজ শিশু দু’টিকে চিহ্নিত করার জন্য কালার কোড ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ, অপারেশন টিমটি দু’ভাগে বিভক্ত হয়। সেখানে মারিয়ানের টিমের রং ছিলো লাল অার মিশেলের টিমের রং ছিলো হলুদ।
অপারেশনের সময় মিশেলের রক্তচাপ নেমে যাওয়া ছাড়া আর কোনো সমস্যা হয়নি। রক্তচাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে তাকে আইভি ফ্লুইড দেওয়া হয় ও রক্ত প্রতিস্থাপন করা হয়।
লস এঞ্জেলেস শিশু হাসপাতালের প্রধান সার্জন ফর্ড জানান, জোড়া জমজ শিশু দু’টিকে সফলভাবে আলাদা করা গেছে। এখন তারা দুজনেই সম্পূর্ণ স্বাধীন। এর চেয়ে সন্তোষজনক আর কি হতে পারে।
গত বছর নভেম্বরে মারিয়ান ও মিশেলের জন্ম হয় পোর্ট-অব-প্রিন্সে। জন্মের পর থেকেই দীর্ঘ সময় তাদের প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। আর এই অস্ত্রোপচারটি ছিলো তাদের জীবনের অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জ।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর সন্তানদের নতুন জীবনে পদার্পণ দেখে মিশেল ও মারিয়ানের বাবা ডেভিড ও মা মানোশেকা ভীষণ আনন্দিত।
মানোশেকা সিবিএস নিউজকে জানান, ওরা নিজেদের পিঠে ভর করে শুয়ে রয়েছে এটা দেখতে পারা সত্যিই এক অসাধারণ অনুভূতি।
এদিকে বাবা ডেভিড জানান, আমার স্ত্রী বলেছিলো যদি আমরা সত্যিই আমাদের সন্তানদের ভালোবাসি তাহলে তাদের আলাদা হওয়ার একটা সুযোগ দেওয়া উচিত, যাতে তারা নির্বিঘ্নে পুরো জীবনটা উপভোগ করতে পারে।
এই অস্ত্রোপচারের দুই সপ্তাহ পর গত শুক্রবার হাসপাতাল ছুটি দেয় মিশেল ও মারিয়ানকে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৫
এএ