ঢাকা: মাটির নিচে মানবরাজ্য, কথাটা ভাবতেই রহস্যময় অনুভূতি হয় তাই না! বছরের পর বছর মাটির নিচেই বসবাস, থাকা, খাওয়া সবই। আচ্ছা কেমন এই মাটির নিচের শহর, কী রয়েছে এখানে? আর কেমনই বা এখানকার মানুষের জীবন? জানতে হলে, চলুন ঘুরে আসি কোবার পেডি থেকে।
দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড শহরের আটশ’ ৪৬ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত কোবার পেডি শহরটি।
মরুময় এ শহরটি এক নজরে জনমানবশূন্য মনে হলেও অন্য শহরের তুলনায় এটি কম কর্মব্যস্ত নয়। পার্থক্য একটাই, এখানকার প্রায় সবার বসবাসই মাটির নিচে।
কোবার পেডির মোট জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন হাজার। তবে, তাদের ৬০ শতাংশই বাস করে মাটির নিচের গুহাস্বরূপ বাড়িতে। মরুর ধুলো ওড়া এ শহরের ওপরে রয়েছে গুটিকতক হোটেল আর গলফ খেলার মাঠ। আর মূল চমক পুরোটাই মাটির নিচে!
১৯১৫ সালে এখানে ওপাল আবিষ্কারের পরই কোবার পেডি বিশ্বের কাছে প্রথম পরিচিত হয়। পৃথিবীর ৯৫ শতাংশ ওপাল এই রয়েছে এলাকায়।
কোবার পেডির জনগণের মাটির নিচে থাকার রহস্য হলো গ্রীষ্মকালে এ এলাকার তাপমাত্রা থাকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। প্রচণ্ড উত্তাপে এখানে মাটির ওপরে টিকে থাকাই কঠিন। তাই বসবাসের সুব্যবস্থা করতে মাটির নিচেই ঠাঁই নিয়েছেন স্থানীয় জনগণ।
সুন্দর এই গুহাকৃতির বাড়িগুলোতে রয়েছে নেটের পর্দা দিয়ে ঢাকা কৃত্রিম জানালা ও বায়ুচ লাচলের ব্যবস্থা।
মাটির নিচে গড়ে ওঠা এ শহরটি একশ’ বছরে কম উন্নত হয়নি। আধুনিক জীবন-যাপনের কোনো উপাদানটি নেই এখানে? ভূগর্ভস্থ গির্জা, উপহারের দোকান, কয়েকটি জাদুঘর, নাচঘর, স্থানীয় বার, আন্ডারগ্রাউন্ড হোটেল ও বুলেটিন বোর্ড সিসটেম।
গত বছর কোবার পেডির আন্ডাগ্রাউন্ড বুলেটিন বোর্ড সিসটেম অস্ট্রেলিযার সবচেয়ে ভালো বি অ্যান্ড বি হিসেবে খেতাব পেয়েছে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৮ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৫
এএ