ঢাকা: একটি মুরগি তার মাথা কেটে ফেলার পরও বেঁচে ছিলো ১৮ মাস! অর্থাৎ, দেড় বছর। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি সেসময় ঠাঁই পায় যুক্তরাষ্ট্রের লাইফ ম্যাগাজিনের হেডলাইনে।
১৯৪৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর। দক্ষিণপূর্ব মিশিগানের ওয়ায়েনডট শিল্প এলাকা। কলোরাডোর ডেনভারের দু’শ কিলোমিটার পশ্চিমে ফ্রুইটাতে ঘটনার সূত্রপাত।
গৃহকর্ত্রী মিসেস এল এ ওলসন রাতের খাবারের জন্য মুরগিটি ধরেছিলেন।
গৃহপালিত মুরগিটির নাম ছিলো মাইক। ওলসন মুরগিটি ধরে আর সব মুরগির মতোই চপিং বোর্ডে রেখে কুড়াল দিয়ে মাথা কেটে ফেলেন।
কিন্তু মাথা কেটে ফেলার সঙ্গে সঙ্গেই মাইক ঝট করে উঠে এলোপাথাড়ি চক্কর দিয়ে দৌড়ে চলে গেলো। সাধারণত এমন হলে মুরগির বেঁচে থাকার কথা না। কিন্তু মাইক বেঁচে ছিলো প্রায় দেড় বছর।
মাইকের মাথার প্রায় পুরো অংশই কেটে গিয়েছিলো। তবে অক্ষত ছিলো একটি কান, গ্রীবাসংলগ্ন ধমনি ও মস্তিষ্কের মূল অংশ।
১৯৪৫ সালের সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখে ঘটে যাওয়া এ ঘটনাটি সেবছর অক্টোবরের ২২ তারিখ লাইফ ম্যাগাজিনে ছাপা হলে ঝড় ওঠে পাঠক দুনিয়ায়।
১৮ মাস পর ১৯৪৬ সালে অ্যারিজোনা মরুভূমির একটি মোটেলে মারা যায় মস্তকবিহীন মুরগি মাইক।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৭ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৫
আরএম/এএ