ঢাকা: আপনি অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়? পথ চলতে সব সময় সতর্ক? তাহলে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর পাঁচ রাস্তা।
যার কোনোটার উপর দিয়ে যেতে আপনার গায়ে এসে লাগবে উত্তাল আটলান্টিক মহাসাগরের ঢেউয়ের ঝাপটা।
কিংবা পাহাড়ের উপরে খাঁজ কেটে বানানো কোনো কোনো রাস্তা। যার পথ এমনই পিচ্ছিল যে, মৃত্যুকূপ নামে যার পরিচিতি দুনিয়া জোড়া।
আসুন, বিশ্বের এমন ভয়ংকর পাঁচ রাস্তার বিষয়ে জেনে নিই-
আটলান্টিক ওশেন রোড, নরওয়ে: নরওয়ের কয়েকটি দ্বীপকে সংযুক্ত করতে নির্মিত ৮ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রাস্তায় রয়েছে আটটি আলাদা সেতু। সমুদ্র উত্তাল থাকলে ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে সেতুর গায়ে। তখন বিশ্বের বিখ্যাত পর্যটন স্পটের এসব সেতু সত্যিই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
দক্ষিণ ইয়ংগাস রোড, বলিভিয়া: দক্ষিণ ইউংগাস রোড বলিভিয়ায় অবস্থিত পাহাড়ের উপরে নির্মিত একটি ভয়ংকর রাস্তা। ৪৩ মাইল দীর্ঘ এ রাস্তাটি এরই মধ্যে মৃত্যুকূপ নামে খ্যাতি পেয়েছে।
আপনি হয়ত ভাবছেন, মানুষ কেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে বা ভ্রমনে যায়! আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, ভলিবিয়ার দুর্গম একটি পাহাড়ি গ্রামে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। প্রতিবছর এ রাস্তা দিয়ে খাদে পরে হাজারের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করে।
ভিতিম রিভারক্রসিং, সাইবেরিয়া: এটি সাইবেরিয়ায় অবস্থিত ৬শ’ মিটার প্রস্থের খরস্রোতা নদী ভিতিমের উপরে নির্মিত একটি ব্রিজ। এ রাস্তাটি কম প্রশস্ত এবং একড়োথেবড়ো হওয়ায় খুবই বিপজ্জনক। শীত বা বর্ষায় সাহসী মানুষ ছাড়া এখানে ভ্রমনে না যাওয়াই ভালো।
শায়েরি রোড, ভারত: ভারতের শায়েরি থেকে ইশতেয়রি পর্যন্ত পাহাড়ি সংকীর্ণ রাস্তায় ভ্রমন সত্যিই উত্তেজনায় ঠাসা। তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে প্রতি পদক্ষেপে। শিলাকেটে তৈরি এ আশ্চর্য রাস্তাটি বর্ষার সময় সত্যি খুব বিপজ্জনক। কারণ এ সময়টাতে পাহাড়ি এ রাস্তার মাটি খুব নরম ও পিচ্ছিল থাকে।
হিমালয়ান রোড, নেপাল: হিমালয়ে পাহাড়ের পাশ দিয়ে যে রাস্তাটা এঁকেবেঁকে গেছে, সেটি দেখলে আপনার পিলে চমকে যেতে পারে। পর্যটকদের জন্য এ রাস্তায় ভ্রমন সত্যিই একই সঙ্গে ভয়ংকর ও রোমাঞ্চকর।
শীতের সময় পাহাড়ি এ রাস্তার সম্পূর্ণটা তুষার ও বরফ গলা পানিতে প্লাবিত থাকে। পাথর ও ইট দ্বারা নির্মিত এ রাস্তা কম প্রশস্ত হওয়ায় গাড়ি চালকের জন্য এর বাঁকে বাঁকে অপেক্ষা করছে বিপদ।
এ পথে পর্যটনে গেলে গাড়ি চালানো ক্ষেত্রে সাবধান, যদি না আপনি হিমালয়ান রোডের ভ্রমনটাকেই জীবনের শেষ ভ্রমন মনে করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৫
আরএম