ঢাকা: সুইজারল্যান্ডের পার্বত্য অঞ্চল। বড় বড় বন্ধুর পাথুরে পর্বতে ঘেরা এ জায়গাটিকেই বেস জাম্পের জন্য বেছে নিলেন উলি ইম্যানুয়েল।
বলা হচ্ছে এটিই এ যাবতকালের সবচেয়ে প্রশংসনীয়, অবিশ্বাস্য ও বিপজ্জনক বেস জাম্প।
বেস জাম্পের জন্য সুইজারল্যান্ডের লাউটারব্রোনের এই স্থানটিকে এখন থেকে তিন বছর অাগেই ঠিক করে রেখেছিলেন ইম্যানুয়েল। তিনি জানান, পর্বতের গায়ে এ গর্তটি তিন বছর আগে যখন খুঁজে পেয়েছিলাম, সেই মুহূর্তে এটা অতিক্রম করতে পারাটা আমার কাছে স্বপ্নতুল্য মনে হয়েছিল।
আর সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই তিনি প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন। টানা তিন বছর কঠোর প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে তৈরি হয়ে যান উত্তেজনাপূর্ণ এ বেস জাম্পটির জন্য।
সাদা-নীল উইংস্যুট, সুরক্ষাদানকারী চশমা ও হেলমেটে গোপ্রো ক্যামেরা লাগিয়ে পাথুরে পাহাড়ের গর্ত গলিয়ে এ সময়ের সেরা বেস জাম্পটি সম্পন্ন করেন ২৯ বছর বয়সী সাড়া জাগানো এ বেস জাম্পার।
ইম্যানুয়েল জানান, পর্বতের গর্তটি আকারে দুই মিটার ও ৬০ থেকে ৭০ সেন্টিমিটার। এর দু’টি প্রবেশপথ ছিল। গর্তের ভেতর দিয়ে চারবার উড়েছি আমি।
তবে, এটাই সবচেয়ে ছোট গর্ত, যার ভেতর দিয়ে এবারই প্রথম কেউ বেস জাম্প করেছেন, জানান তিনি।
গত বছর পারফর্ম করলেও ইম্যানুয়েলের বেস জাম্পের এই ভিডিওটি ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে চলতি মাসের ১ তারিখ। পর্বতের সরু চিড়ের ভেতর দিয়ে তার ঝাঁপিয়ে পড়ার ভিডিওটি এরই মধ্যে সাড়া জুগিয়েছে হাজারো ভক্তের মধ্যে। বর্তমানে ভিডিওটি দেখেছেন প্রায় তিন লাখ দর্শক।
গোপ্রো হিরো-৪ ক্যামেরায় ধারণ এই ভিডিওটিওতে পর্বত এলাকা, উপত্যকা, সবুজ প্রান্তর ও পাথুরে পাহাড়ের গর্ত সবই দেখা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি গোপ্রো জানায়, এটাই সম্ভবত সবচেয়ে প্রযুক্তিগত ও কঠিন বেস জাম্প।
ইউটিউব ছাড়াও ফেসবুকে তার সমর্থকরা এ অবিশ্বাস্য বেস জাম্প সম্পর্কে লিখেছেন, তাদের দেখা জাম্পগুলোর মধ্যে এটিই সবচেয়ে উন্মাত্ত ও নিপুণ।
উলি ইম্যানুয়েল ২০১০ সালে স্পেনে এক্সট্রিম বেস জাম্প ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ জেতেন। এরপর ২০১৪ সালে সুইজারল্যান্ডে বিশ্বের সেরা বেস জাম্প সাইটগুলোর অন্যতম একটিতে এই সেরা পারফরম্যান্সটি করেন।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০০ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৫
এএ