ঢাকা: বামন গ্রহ প্লুটো। গ্রহটির সব অজানা তথ্য জানতে ২০০৬ সালে নিউ হরাইজনস্ নামে একটি স্পেস ক্রাফট এর অভিমুখে যাত্রা করে।
আগামী ১৪ জুলাই প্লুটোতে পৌঁছাবে নিউ হরাইজনস্। তবে এরইমধ্যে গত মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) নিউ হরাইজনস্ নাসাকে পাঠিয়েছে প্লুটোর বেশকিছু ছবি।
প্লুটো বর্তমানে মহাকাশের দক্ষিণ ছায়াপথে অবস্থান করছে যা মধ্যরাতে পৃথিবীর মধ্য-উত্তর অক্ষাংশ থেকে দৃশ্যমান। সৌরজগতের প্রান্তে অবস্থিত এ গ্রহের পৃথিবী থেকে দূরত্ব প্রায় চার দশমিক নয় বিলিয়ন কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার (০৯ জুলাই) নিউ হরাইজনস্ প্লুটোর ছয় মিলিয়ন কিলোমিটারের মধ্য দিয়ে উড়ে গেছে।
এদিকে, মার্কিন স্পেস এজেন্সি প্রোব মঙ্গলবার আট মিলিয়ন দূর থেকে প্লুটোর বেশকিছু ছবি পাঠিয়েছে। ছবিগুলো খুঁটিয়ে গবেষণা করা হবে বলে জানিয়েছে নাসা।
এসব ছবিগুলোতে প্লুটোর বিষুবরেখায় বড় কালো অংশ, প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার জায়গা জুড়ে একটি তিমি ও হার্টের আকৃতির অংশও দেখা গেছে। যদিও ছবিগুলো খুব একটা স্পষ্ট নয়, তবে ১৪ জুলাই প্লুটো থেকে ১২ হাজার পাঁচশো কিলোমিটার উপরে অবস্থান নেবে নিউ হরাইজনস। তখন এর হাই রেজ্যুলেশন ক্যামেরা ‘লরি’ একশো মেগাপিক্সেলে আরও স্পষ্ট ছবি তুলতে সক্ষম হবে।
প্লুটোর বর্তমান ছবিগুলোও লরির মাধ্যমে তোলা। কিন্তু এর রঙ নিয়ন্ত্রণ করছে প্রবের অন্য আরেকটি ক্যামেরা ‘ৠাল্ফ’।
যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোর সাউথ-ইস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নিউ হরাইজনসের সহকারী তদন্তকারী জন স্পেনসার জানান, এখন পর্যন্ত প্লুটো রহস্যময়। এর কয়েকটি অন্ধকার ও বেশ কিছু উজ্জ্বল জায়গার সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে এ জায়গাগুলো বাস্তবিক অর্থে কী, এ সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত নই।
জন ও তার সহকর্মীদের ধারণা, প্লুটোর এ উজ্জ্বল জায়গা হয়তো জমাটবাঁধা কার্বন মনোক্সাইড ও কালো অংশটি প্লুটোর বায়ুমণ্ডলের আল্ট্রা-ভায়োলেট রশ্মি বা কসমিক রশ্মিতে পুড়ে যাওয়া হাইড্রোকার্বন হতে পারে।
স্পেনসার আরও জানান, আমরা কয়েকদিন পরই আরও কাছ থেকে বিগত ছবিগুলোর চেয়ে পাঁচশোগুণ বেশি ভালো ছবি পাবো বলে আশা রাখছি।
প্লুটোর কক্ষপথে প্রতি সেকেন্ডে ১৪ মিটার গতিতে ভ্রমণ করবে নিউ হরাইজনস্।
পৃথিবী থেকে প্লুটোর দূরত্ব চার দশমিক পাঁচ বিলিয়ন কিলোমিটারেরও বেশি। ফলে সেখান থেকে গ্রহণযোগ্য সব তথ্য পৃথিবীতে পাঠাতে নিউ হরাইজনসের প্রায় ১৬ মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন মহাকাশ বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৫
এসএস