ঢাকা: যদি এমন হতো, তাহলে কেমন হতো, যদি ছোট্ট একটি বিড়াল সিংহের মতো বড় হতো! কিংবা হাতির মতো বড় একটি কুকুরের সামনে মানুষ দেখায় ছোট!
হয়ত ভয় লাগতো, হয়ত মজা কিংবা রোমাঞ্চ!
মজার বিষয়, শুধুমাত্র একজন আলোকচিত্রীর যথার্থ সময়ে তোলা বেশ কয়েকটি ছবি আমাদের কল্পনাকেও ছাড়িয়ে যায়। যদিও তা বাস্তবে তা নয়।
বিষয়বস্তু থেকে ক্যামেরা এবং ব্যাকগ্রাউন্ডের দূরত্ব ও সময় এ অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে। বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য এই মজাদার ছবি তুলে ধরা হলো-
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, দুই তরুণী ক্যামেরার দিকে মুখ করে তাকানো। আর এরই ফাঁকে সিংহ আকৃতির বিশাল একটা কুকুর ঝাঁপিয়ে পড়ছে ক্যামেরার দিকে। বিষয়টি হলো, তরুণী দুজন বেশ খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে কুকুরের দৌড়ানো দেখছেন। আর কুকুরটি যখন ক্যামেরার কাছাকাছি এসে পড়েছে, ঠিক তখনই আলোকচিত্রী তার ক্যামেরার সাটারে চাপ দিয়েছেন। ফলে, একটি কুকুর ছানাও বিশালাকৃতির সিংহের মতো দেখাচ্ছে।
এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিশালাকৃতির একটি কুকুর নদীতে মাছ ধরারত একজন পুরুষের মাথা চেটে দিচ্ছে। দেখতে খুবই হাস্যকর! কিন্তু বাস্তবে তা নয়। কুকুরটি একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে। আর তার মালিক নদী থেকে বড়শি তুলছেন। ছবি তোলার কৌশলে বিষয়টি হয়ে গেল অন্য।
বিশাল একটি কুকুর ছানার পেছনে দাঁড়িয়ে এক দম্পতি ছবি তোলার জন্য পোজ দিচ্ছেন। বিষয়টি সেই একই। ক্যামেরার খুব কাছাকাছি পোষা কুকুর ছানার অবস্থান। আর তার পেছনে বেশ খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কুকুর ছানার মালিক।
এ ছবিতে দেখা যাচ্ছে বিশালাকৃতির একটি কুকুর ছানাকে দুজন আদর করছেন। আর কুকুর ছানাটি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে আছে। ছবিটি সত্যি মজার। আসলে কুকুর ছানাটি ছোটই। কিন্তু তার মুখটি ক্যামেরার লেন্সের খুব কাছাকাছি থাকায় অনেক বড় দেখাচ্ছে।
বিশাল আকৃতির কুকুর নদীর দিকে তাকিয়ে আছে। তার পায়ের চাপে মাটির স্তর ভেঙে পড়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, কুকুরটি নদীর পাড়ে বসে আছে। আর তার ও পাশে নদীর পাড় আগে থেকেই ভাঙা। কিন্তু ছবি তোলার কারণে মনে হচ্ছে, কুকুরটি বসে থাকার কারণে তার ভারেই নদীর পাড়টি ভেঙে পড়েছে।
আকৃতিতে কে বড়, তরুণী নাকি কুকুরটি! ছবিটি লো-অ্যাঙ্গেলে তোলা। কুকুরটির নিচের দিকে অবস্থান করে ছবিটি তুলেছেন আলোকচিত্রী। সে কারণে কুকুরটিকে বিশাল আকৃতির মনে হচ্ছে।
মাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল আকৃতিরেএকটি কুকুর। কী যেন দেখছে সে। আর তার মতোই দূর থেকে বামনাকৃতির এক নারী কী যেন লক্ষ করছেন। ছবি তোলার কৌশলই ছবির দৃষ্টিকোণ পাল্টে দিয়ছে।
বিশাল কুকুর ছানাটি বেড়ার পাশে ছোট্ট একটি খেলনার দিকে আছে, বিষয়টি কী বোঝার জন্য। তবে বাস্তবে কুকুর ছানাটি নিজেও ছোট। আলোকচিত্রী ক্যামেরাটিকে একবারে মেঝে বরাবর রেখে ছবি তোলার কারণে বিষয়টি অন্যরকম হয়ে গেছে।
অথৈ পানিতে সাঁতার কেটে যাচ্ছে একটি বড় কুকুর। আর তার সঙ্গে সাঁতরে চলেছে অন্য কেউ। কিন্তু বাস্তবে বন্যার পানি রাস্তায় জমে থাকার কারণে ঘটনাটিকে মনে হচ্ছে বিশাল নদী পাড়ি দিচ্ছে তারা। একটি শিশু কুকুরটির সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছে।
ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে, বরফের পাহাড়ে বা চির বরফের দেশ অ্যান্টার্টিকায় হেঁটে বেড়াচ্ছে বিশাল একটি শ্বেত ভালুক। কিন্তু সেটি একটি কুকুর ছানা। বাড়ির পাশে জমে থাকা বরফে হেঁটে বেড়াচ্ছে সেটি।
এ দুজনের কী মন খারাপ! নাহ...! আসলে কুকুরটি একটি বাড়ির দেওয়ালে হেলান দিয়ে তাকিয়ে আছে বাইরের দিকে। অপরদিকে, এক নারী একই বাড়ির দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসে কোনো কিছু দেখছেন। কিন্তু আলোকচিত্রীর ছবির দৃষ্টিভঙ্গি জানাচ্ছে, এদের দুজনের হয়ত মন খারাপ...! ছবি তোলার গুণে অনেক কিছুই পাল্টে যায়...। কিন্তু বাস্তবতা থাকে অন্যরকম...!
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৫
এবি