ঢাকা: মঙ্গলগ্রহে প্রাণের সন্ধানে অনেক আগে থেকেই চলছে নানান গবেষণা। রটেছেও অনেক জল্পনা-কল্পনা।
নাসার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলগ্রহে পাওয়া গেছে পিরামিড আকৃতির একটি স্থাপনা। পিরামিডটির নকশা, আকার ও গঠন এতটাই সূক্ষ্ম যাতে মনে হয় যেন মিশর থেকে কোনো পিরামিড নিয়ে জুড়ে দেওয়া হয়েছে লাল এই গ্রহের বুকে।
গত ৭ মে মঙ্গলগ্রহ থেকে স্থানীয় রোবটযান কিউরিসিটি রভারের ধারণ করা এ পিরামিডের কিছু ছবি ও একটি ভিডিও ফুটেজ ইউটিউবের প্যারানরমাল ক্রুসিবল চ্যানেলে প্রকাশিত হয়।
ছবিটিকে বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এই পিরামিডের নকশা ও গঠন অতি নিখুঁত ও শিল্পমণ্ডিত। এ থেকেই অনেকে অনুমান করছেন, কোনো না কোনো সময় মঙ্গলগ্রহে মানুষের মতোই কোনো সৃজনশীল ও বুদ্ধিমান প্রাণী সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল।
ভিডিওচিত্রটি পর্যবেক্ষণ করে নাসা বিশেষজ্ঞরা জানান, পিরামিডটি আকারে ছোট গাড়ির সমান হতে পারে। এটি ছাড়াও লালগ্রহের ভূমির নিচে আরও বড় কোনো স্থাপনা থাকতে পারেও বলে তাদের অভিমত।
তবে আলোচিত এ ভিডিওটি দেখে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, পৃথিবীতেও এমন অনেক শিলা বা প্রস্থরখণ্ড রয়েছে যা কিনা বাতাসের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। আবার একইসঙ্গে অনেকেই গুজব ছড়িয়েছেন, হয়তো মানবসভ্যতার কেউই সেখানে গিয়ে সবার আড়ালে বসতি গড়েছেন!
যুক্তরাষ্ট্রের রেডিও স্টেশন কোস্ট টু কোস্ট এম এ জ্যাকি নামের এক নারী জানান, ১৯৭৯ সালে ভাইকিং লেন্ডার থেকে টেলিমেট্রি ডাউনলোড করার সময় তিনি দু’জন লোককে মঙ্গলগ্রহে হেঁটে বেড়াতে দেখেছেন।
তাদের পরনে মহাকাশচারীদের মতো পোশাক ছিল না, তবে তারা যা পরেছিলেন তা স্থানপোযোগী বলেই মনে হচ্ছিল বলে জানান জ্যাকি।
তবে নাসা জ্যাকির এ গল্প সমর্থন না করলেও অনেকেই বিশ্বাস করছেন এখানে নিশ্চই প্রাচীন কোনো প্রাণী সভ্যতা ছিল বৈকি। যা অন্য কোনো এলিয়েনের দাপটে বিলুপ্ত হয়েছে!
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৮ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৫
এএ