ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

রেমা-কালেঙ্গার বন-পাহাড়ে-১১

দফতরি চালান স্কুল!

শুভ্রনীল সাগর, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন ও জিয়া উদ্দিন দুলাল | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৫
দফতরি চালান স্কুল! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রেমা-কালেঙ্গা থেকে ফিরে: অবাক হলেও সত্যি- স্কুলের পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন ওই স্কুলেরই দফতরি!

সরেজমিনে দেখা যায়, তিনজন সহকারী শিক্ষকের অনুপস্থিতিতে দফতরি নিজেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিয়ে চলেছেন।

স্কুলের নাম কালেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

আর স্কুলে পৌঁছে যাকে পাঠদান করতে দেখা গেলো তার নাম সোহাগ মিয়া। তার পদবি ‌দফতর কাম প্রহরী।

তবে একদিক দিয়ে ধন্যবাদ তিনি পেতেই পারেন। শিক্ষক নেই তো কী হয়েছে, দফতরি তো রয়েছেন! শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে নিজেই নেমে পড়েছেন পাঠদানে।

শিক্ষকরা কোথায়?

সোহাগ মিয়ার উত্তর, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খুরশেদ আলম গেছেন অফিসের কাজে টিও অফিসে। শিক্ষক শাহিনারা চৌধুরী ও হাসিনা পারভিন আজ আসেননি।

কথার ফাঁকে জানালেন, ম্যাডামরা যোগাযোগের দুরাবস্থার কারণে নিয়মিত স্কুলে আসতে পারেন না। অনেক দূর থেকে আসতে হয় তাদের। বৃষ্টি বা আবহাওয়া দুর্যোগের কারণে স্কুলে আসা সম্ভব হয় না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্কুলের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা দুইশো। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান চলে।

চুনারুঘাট-কালেঙ্গা প্রধান সড়ক থেকে একটু নিচে নামতেই কালেঙ্গা স্কুলের সরু পথ। স্কুলের সামনে প্রশস্ত মাঠ। বলা ভালো, গোটা পথ-মাঠ কাদায় ডোবা।

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তুহিন মিয়া ও নার্গিস আক্তার জানায়, বর্ষাকালে স্কুলে আসতে-যেতে খুবই সমস্যা হয়। রাস্তা দিয়ে চলার অবস্থা থাকে না।

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, নারী দুই সহকারী শিক্ষক অনেক দূর থেকে স্কুলে আসেন। রাস্তার যা অবস্থা তা তো আপনারা নিজ চোখেই দেখেছেন। আমি স্কুলের জন্য একজন প্যারা শিক্ষকও (অতিরিক্ত) নিয়োগ করেছি। বর্তমানে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ রয়েছেন বলে নিয়মিত স্কুলে আসতে পারছেন না।

এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিও) কুশল আহমেদ রনি বাংলানিউজকে বলেন, এর আগেও আমি স্কুলে গিয়ে দু’জন শিক্ষককে না পেয়ে তাদের ‘কারণ দর্শাও’ নোটিশ দিই। তারা নোটিশের জবাবও দিয়েছেন। এরপরও বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৫
বিবিবি/এসএস

** বনবিভাগের সহায়ক সংস্থার কাজ নিয়ে প্রশ্ন
** ভিলেজারদের পাহারায় টিকে রয়েছে বন
** সংসারের কথা মনে পড়লেই কান্না আসে
** নিরাপত্তাকর্মীরাই নিরাপত্তাহীনতায়

** ৩৩ জনের কাঁধে দেশের ২য় বৃহত্তম বন
** সৌরবিদ্যুতে আলোকিত বনাঞ্চল
** যে রাস্তায় অটোরিকশা হয়ে যায় সিন্দ‍াবাদের জাহাজ!
** পাখির ডাকে রাত, পাখির ডাকে দিন
** বন্যপ্রাণীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অভয়াশ্রম
** পাহাড়ের ভাঁজে অরণ্যের দিনরাত্রি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।