ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

যে কলোনি শুধুই হাঁসের (ভিডিওসহ)

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০২ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৫
যে কলোনি শুধুই হাঁসের (ভিডিওসহ)

ঢাকা: স্বচ্ছ লেগুনের নীল জলরাশি। তাতে ভাসছে শত শত কমলা ঠোঁটের সাদা রাজহাঁস।

কোথাও দলবেঁধে সাঁতার কাটছে, আবার কোথায় একসঙ্গে জড়ো হয়ে রয়েছে বসে। কেউবা পাড়ে উঠে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে। এখানে তারা সবাই স্বাধীন। তা হবেই বা না কেন? এটা যে হাঁসদের কলোনি! তাদের জন্ম, বাসস্থান ও  বংশবৃদ্ধি সবই এখানে। রয়েছে নিয়ম মাফিক চিকিৎসা ব্যবস্থ‍াও।

দক্ষিণ-পশ্চিম যুক্তরাজ্যের ডোরসেটের ঐতিহাসিক অ্যবোটসবারি সোয়ানারিতে রয়েছে প্রায় সাড়ে সাতশো রাজহাঁস।

হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন, বাসস্থান ঠিক করা ও চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত অনেক সেচ্ছাসেবী। বছরে দু’বার হাস‍ঁগুলোর ওজন মেপে টিকা দেওয়া হয়।
অ্যাবোটসবারির এ কলোনিটিই বিশ্বের একমাত্র হাঁসের কলোনি। কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, এখানে হাঁসের খুব যত্নের সঙ্গে লালন-পালন করা হয়।

১৩৯৩ সাল থেকেই এখানে হাঁসের হ্যাচারি ছিল। এ বছর হাঁসের জন্য ৯৬টি বাসস্থান তৈরি করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি বাসায় গড়ে পাঁচটি করে ডিম পাওয়া য‍ায় প্রতিদিন।

ঐতিহ্যগতভাবে,  অ্যাবোটসবারিতে গ্রীষ্মের শুরুতে বছরের প্রথম হংসশাবক উৎপাদন করা হয়। এ বছর মে মাসে প্রথম হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন করা হয়েছে।

বর্তমান বৈরী আবহাওয়ায় জন্মানো বাচ্চাগুলো টিকে রয়েছে তাদের বাবা-মা’র পালকের উষ্ণতায়।

হাঁসদের দ্বি-বার্ষিক গণনার জন্য, এই উইকেন্ডে স্বেচ্ছাসেবীরা সবাই জড়ো হয়েছে চেসিল সৈকতের কাছে। প্রতিবছরই হাঁসগুলো এখানে জমা হয় বসতি স্থাপন ও বংশবৃদ্ধির জন্য।

হাঁসের এই কলোনিটি প্রথম স্থাপন করেছিলেন বেনেডিক্টিন ভিক্ষুরা। তারা একাদশ শতাব্দীতে অ্যাবোটসবারিতে আশ্রম তৈরির করেছিলেন।  

অন্যান্য ব্রিটিশ হাঁসের মতো এই হাঁসগুলো রানীর এখতিয়ারে নয়। ষষ্ঠদশ শতাব্দীতে ব্রিটেনের আশ্রমগুলো ধ্বংস কারার পর অষ্টম হেনরি  অ্যাবোটসবারির সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের কাছে হাঁসগুলো বিক্রি করে দেন।

অ্যাবোটসবারিতে বসতি স্থাপন, বংশবৃদ্ধি ও বাচ্চা উৎপাদন করা ব্রিটেনের এক হাজার ছয়শো স্থানীয় উড়ন্ত হাঁস ল্যাটিনে সিগনাস ওলর নামে পরিচিত।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।




বাংলাদেশ সময়: ০১২৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৫
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।