ঢাকা: বেলকনির রেলিংয়ে বসে মজা করছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে। সামনে-পেছনে হেলেদুলে মজা করতে করতে তার যেন মাথাতেই ছিল না যে, তিনি কোথায় অবস্থান করছেন!
হঠাৎ করে তিনি আর নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলেন না।
সরাসরি তিনি গিয়ে পড়লেন ভবনের সামনে একটি পার্কিং শেডের ওপর। এরপর শেডের টিন ভেঙেচুরে পড়লেন পার্ক করে রাখা একটি গাড়ির বনেটের ওপর। ঝাঁকি খেয়ে ছিটকে পড়লেন বাইরে।
১৭ তলা থেকে পড়ে পায়ে আঘাতসহ কোমরে ব্যথা পেয়েছিলেন তিনি।
এরপর তিনি হাসপাতালে। ঝাঁপসা ঝাঁপসা এটুকুই বুঝতে পারছিলেন তিনি। দিব্যি সংবাদমাধ্যমকে ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন।
ঘটনাটি চিলির রানকাগুয়া এলাকায় ঘটেছে এ বছরের ১৫ জুন। ১৭ তলা থেকে পড়ে অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া এই তরুণের নাম সেবাস্টিয়ান রেয়েস।
সেবাস্টিয়ান রেয়েস সংবাদমাধ্যমকে বললেন, আমি শুধু বুঝতে পারলাম যে, আমি পড়ে যাচ্ছি। আর কিছু না। পরে দেখি, আমি হাসপাতালে।
তিনি বলেন, আমি কোপা আমেরিকার খেলা দেখে নাইট ক্লাবে যাই। সেখান থেকে এসে অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে আসি। এরপর বেলকনির রেলিংয়ে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলাম।
তারপর হঠাৎ করেই ১৭তলা থেকে ৪০ মিটার নিচে পড়ে যাই। পড়ার সময় শুধু মনে আছে আমি পড়ে যাচ্ছি। ব্যাস, এটুকুই। এরপরে দেখি আমি হাসপাতালে।
অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়ার জন্য সেবাস্টিয়ান রেয়েস তার হাতের ট্যাটুকে কৃতিত্ব দেন। ট্যাটুতে লেখা- ‘ঈশ্বর আমাকে পরিত্যাগ করো না’।
তিনি মনে করছেন, এই লেখার জন্যই তিনি দিব্যি বেঁচে আছেন!
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৫
এবি