ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

চাকাওয়ালা বাড়ি!

সানজিদা সামরিন, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১৫
চাকাওয়ালা বাড়ি! ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সকালবেলা গরুর ডাকে ঘুম ভাঙলো টম রসটর্নের। বিশাল বিছানায় আড়মোড়া দিয়ে উঠে বসলেন।

হলদেরঙা ঘরে সকালের আলো পড়েছে। পাশের ঝকঝকে স্নানঘরে ঢুকে স্নান সেরে নিলেন টম। এবার ব্রেকফাস্ট তৈরির পালা। আদরের দুই মেয়ে মার্থা ও বিয়া। দুজনেই পড়ার টেবিলে ব্যস্ত। ব্রেকফাস্টের মেন্যুতে ডিম আর মাংস। বাহ্ চমৎকার একটি সকাল!

এতক্ষণ যে আনন্দঘন বাড়ির গল্প করলাম তা মোটেও আর দশটি বাড়ির মতো নয়। এই বাড়িটি ভ্রাম্যমাণ। অর্থাৎ, বাড়িটি একটি গাড়ির সাহায্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারে। তবে অন্যসব ভ্রাম্যমাণ বাড়ির চেয়ে অনেক বেশি বিলাসবহুল ও ফ্যাশনেবল।


টম জানান, তিনি ও তার দুই মেয়ে ছুটিতে কেন্টের নিজ বাসভবন থেকে লন্ডন হয়ে ডেভনে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার সময় প্রথমে ভ্রাম্যমাণ এ বাড়িটি যেখানে থামে সে জায়গাটি তার পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে মার্থার পছন্দ হয়নি।

তখন টম তাকে বলেছেন, কোনো সমস্যা নেই। দৃশ্য পছন্দ না হলে আমরা জায়গা পাল্টে নেবো।


কারণ এই বাসভবন বিলাসবহুল তো বটেই, আরও অনেক ফ্যাশনেবল বাড়ির মতোও। তবে অন্য বাড়ির সঙ্গে এর মূল পার্থক্য হলো আমাদের এ বাড়ির চাকা রয়েছে।

এক নজরে বাড়িটি ঘুরে দেখলে অবাক হতেই হবে। ভ্রাম্যমাণ ত‍াতে কি? সবই রয়েছে এখানে। সুসজ্জিত বিছানা, কিচেন-ডিনার কর্নার, কফি মেকার, চিমনি, ঝকঝকে বেসিন আর সুন্দর স্নানঘর।

প্লাস্টিক ও নাইলনের অসবাবপত্রে সাজানো বিশাল ও বড় এ বাড়িটি ভেতরে বাইরে সমান সুন্দর।


বাড়িটিকে বলা যায় বড়দের পুতুল বাড়ি। জানান এর ডিজাইনার  আনা বিংহাম।
৪২ বছর বয়সী আনা জানান, আমরা এমন এক বাড়ি তৈরির কথা ভেবেছিলাম যা আনন্দদায়ক ও একইসঙ্গে বাইরে থাকাও যাবে।
এমন বাড়ি প্রথমটি বানিয়েছিলাম এখন থেকে দুই বছর আগে। এর পর আমরা আরও আটটি বানাই। মানুষ সত্যিই এগুলো পছন্দ করেছে। জানান অ‍ানা।   


এমন একটি বাড়ি কিনতে চাইলে পড়বে ১৭ হাজার পাউন্ড। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় বিশ লাখ ৬০ হাজার টাকা। যেখানে একটি পরিপূর্ণ বিলাসবহুল বাড়িতে পড়বে ৩৮ হাজার পাউন্ড। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪৭ লাখ টাকা।

আনা জানান, মানুষ এই বাড়িগুলোকে সাধারণত ছুটির দিনের জন্য ভাড়া করে। আবার অনেকেই অফিস হিসেবে ব্যবহার করে।   বাড়িটি উচ্চতায় প্রায় সাড়ে তের ফুট, প্রায় নয় ফুট চওড়া ও ২২ ফুট প্রশস্ত।


এর মাপ এমনভাবে নেওয়া হয়েছে যাতে কোনো সাহায্য ছাড়াই এটি হাইওয়েতে টেনে নিয়ে যাওয়া যায়।

সম্প্রতি তিনি এমন একটি বাড়ি ভাড়া দিয়েছেন উত্তর-পশ্চিম ডেভনের হার্টল্যান্ডের একটি মাঠে।

বছরের বিভিন্ন সময় অনুযায়ী বাড়িগুলো সপ্তাহ প্রতি ভাড়া পড়বে ৩০০ পাউন্ড থেকে ৫৫০ পাউন্ড। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে ৩৬ হাজার থেকে সাড়ে ৬৬ হাজার টাকা।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০১৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৫
এএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।