ঢাকা: দুষ্টু বিড়াল, মিষ্টি বিড়াল আর বন্ধু বিড়ালের গল্প তো অনেক শোনা হয়েছে, এবার আসি এক কনফিউজড বা বিভ্রান্ত বিড়ালের গল্পে।
ধবধবে সাদা তুলোর বলের মতো দেহ।
কিন্তু তীক্ষ্ণ নীল চোখের এ বিড়ালটি মোটেও চিন্তিত বা বিভ্রান্ত নয়। পশুচিকিৎসকদের মতে মস্তিষ্কে ইনফেকশন হওয়ায় তার মাথা স্থায়ীভাবে বামদিকে কাত হয়ে গেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের ‘রয়েল সেসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অব ক্রুয়েল্টি অব অ্যানিমালস’ (আরএসপিসিএ) এ টিলি চিকিৎসাধীন ছিলো। যদিও সে এখনও পুরোপুরি সুস্থ হয়নি, তবে বর্তমানে টিলি আরএসপিসিএ-এর স্টেট ফস্টার কেয়ার কো-অর্ডিনেটর হান্না বারফিটের বাড়িতে রয়েছে। হান্নাই টিলির যাবতীয় দেখাশোনা করছেন।
২৯ বছর বয়সী হান্না জানান, টিলির খুব খারাপ অবস্থা ছিলো। এটা পরিষ্কার, সে মারাত্মক মানসিক আঘাত পেয়েছে।
টিলির শরীরে কোনো মাইক্রোচিপ ( গৃহপালিত প্রাণী শনাক্ত করার জন্য চামড়ার নিচে স্থাপন করা একটি যন্ত্র) ছিলো না। তাই চিকিৎসকরা বিড়ালটির মালিকদের খুঁজে বের করতে পারেননি। ফলে টিলির ঠিক কী হয়েছিলো তা জানা যায়নি।
হান্না বলেন, টিলিকে যখন আমরা পাই তখন সে নিজের শরীরের ভারসাম্য রাখতে পারছিলো না। ঠিকভাবে দাঁড়াতে বা হাঁটতেও পারেনি। তার এক কানে শুকনো রক্ত দেখা যাচ্ছিলো।
টিলির এই লক্ষণগুলো অনেকটা মস্তিষ্কের ইনফেকশন, যেমন টেক্সোপ্লাজমোসিসের মতো বলে জানান চিকিৎসকরা। চিকিৎসার শুরুতে টিলির বেশ কয়েকটি মেডিকেল টেস্ট করা হয়। আঘাত পাওয়ায় তার মধ্য ও অন্তঃকর্ণে ইনফেকশন হয়। ফলে তাকে এন্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। কিন্তু সার্জারির মাধ্যমে তার মাথা আর স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়নি।
তবে টিলি তার এই বাঁকানো মাথার সঙ্গে নিজেকে বেশ ভালোই মানিয়ে নিলেও এই একটি কারণে সে বাইরে বের হতে পারে না। জানান হান্না।
হান্নার অভিমত, আমাদের তাকে ঘরের ভেতরেই রাখতে হবে। কারণ কোনো রকম আঘাত সহ্য করার মতো অবস্থা টিলির নেই।
যত যাই হোক, টিলি কিন্তু খুব প্রাণোচ্ছ্বল ও খেলতে ভালোবাসে। হান্নার পোষা আরও দুটি বিড়ালের সঙ্গে বেশ দাপটেই দিন কাটাচ্ছে টিলি।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৫
এএ