ঢাকা: কী ঘটে যখন সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ সারিবদ্ধভাবে দেখা দেয়? মানুষ (অথবা পশুপাখি) কী আরও বেশি উন্মাদ বা অপরাধপ্রবণ হয়ে পড়ে!
চাঁদ তো কতরূপেই আমাদের সামনে আসে। কিন্তু বিশেষ হয়ে ওঠে তখন, যখন সে পূর্ণরূপে দেখা দেয়।
আরও বিশেষ হয়ে ওঠে যখন এ পূর্ণচাঁদ চলে আসে পৃথিবীর আরও কাছে। সাধারণ পূর্ণিমার তুলনায় তখন চাঁদকে আরও বেশি বড় ও উজ্জ্বল দেখায়। একে বলে সুপারমুন। সুপারমুনের আবিষ্কারক বিখ্যাত জ্যোতিষী রিচার্ড নোলের মতে, সুপারমুন হতে হলে চাঁদকে পৃথিবী থেকে প্রায় দুই লাখ ২৪ হাজার ৮শ ৫১ মাইল দূরে থাকতে হয়।
যে কথা দিয়ে শুরু হয়েছিল, একে তো পূর্ণিমা তার উপর সুপারমুন- এ দুইয়ের যুগলবন্দিতে কী প্রভাব পড়ে জীববৈচিত্র্যে।
এই ফাঁকে একটু বলে নেওয়া ভালো, হঠাৎ সুপারমুনের কথাইবা কেন! হ্যাঁ, কারণ হলো, শনিবার (২৯ আগস্ট) দেখা দিচ্ছে বছরের ৪র্থ সুপারমুন। চলতি বছর মোট ছয়টি সুপারমুন রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি সুপারমুন পার হয়ে গেছে বছরের শুরুর দিকে। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে দেখা দিয়েছিল প্রথম তিনটি সুপারমুন। বাকি আরও তিনটি সুপারমুন ২৯ আগস্ট, ২৮ সেপ্টেম্বর ও ২৭ অক্টোবরে দেখা যাবে।
আসন্ন সুপারমুনটি সার্বজনীন সমন্বিত সময় (ইউনিভার্সাল টাইম কোঅর্ডিনেটেড) ১৮টা বেজে ৩৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ৩৫ মিনিট) দেখা যাবে।
এবার ফিরে যাই প্রভাব-প্রতিপত্তিতে। প্রচলিত রয়েছে, মুন থেকে সুপারমুন হয়ে উঠলে ভূমিকম্প, সুনামি, অনাবৃষ্টি, সাইক্লোন, আগ্নেয়গিরি উদগিরণ ইত্যাদি নানা বিপর্যয় পৃথিবীকে গ্রাস করে। তবে জোতির্বিজ্ঞানীরা এর পক্ষে তেমন কোনো মত দেননি।
তাদের মতে, সাধারণত নদীতে জোয়ারের ক্ষেত্রে চাঁদের ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু এতে সুপারমুনের কোনো প্রভাব নেই। কারণ, সূর্য, পৃথিবী ও চাঁদ একই সরলরেখায় চলে এলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কিছুটা বেশি উচ্চতার জোয়ার হয়ে থাকে। এতে সুপারমুনের ক্ষেত্রে প্রায় তেমনটি ঘটে থাকলেও, বড়জোর অন্য পূর্ণিমার চেয়ে সামান্য উচ্চতা বাড়ে। তবে তা এতটাই নগণ্য যে সাধারণ চোখে কোনো পার্থক্য ধরা পড়ে না।
এবার আসি জীববৈচিত্র্যের বেলায়। সেটি বরং স্পেস ডট কমের ডেভিড ব্রুডির ব্যাখ্যাতেই শুনে নিন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৫
এসএস
** বছরের ৪র্থ সুপারমুন ২৯ আগস্ট