ঢাকা: সবসময়ই গ্রিক পুরাণের দেবতারা মানুষের আগ্রহের বিষয়। দেব-দেবীদের মায়াবী অবয়ব ও রোমাঞ্চকর গল্প সবাইকে বিমোহিত করে।
কখনও কখনও কল্পকাহিনীও হয়ে ওঠে জীবন্ত। আর তা যদি হয় গ্রিক পুরাণের পাতা থেকে উঠে আসা, তবে তো কথাই নেই!
তাদের চমকপ্রদ গল্প নিয়েই এবার বিশেষ ধারাবাহিক আয়োজন। পঞ্চম পর্বে থাকছে পসেইডন ও হেরার গল্পকথা!
পসেইডন
সমুদ্রদেব পসেইডন ছিলেন টাইটান ক্রোনাস ও রিয়ার সন্তান। জিউস ছিলেন তার ভাই। ঝড় ও ভূমিকম্পের এ দেবতা রোমানদের কাছে নেপচুন নামে পরিচিত।
পুরাণ অনুসারে, পসেইডন আর্টেমিস ও অ্যাপোলোর জন্মের সময় লেটোকে সাহায্য করেছিলেন। হেরার দ্বারা বিতাড়িত হওয়ার পর গর্ভবতী লেটো ডেলোস দ্বীপে পৌঁছালে, পসেইডন তার বিশাল ঢেউ দিয়ে দ্বীপটি ঢেকে দেন। সেই ঢেউয়ের আশ্রয়ে জন্ম নেয় চাঁদের দেবী আর্টেমিস ও সূর্যদেব অ্যাপোলো। তার ঢেউয়ের নিচে আশ্রয় নেওয়ার কারণে, হেরার পাঠানো বিষাক্ত সাপ লেটোকে খুঁজে পায়নি।
পসেইডন ছিলেন প্রেমের দেবী আফ্রোদিতির স্বামী ও থেসিউস, ট্রেটন ও পলিফেমাসের বাবা।
পসেইডনের বেশকিছু মূর্তিতে তাকে ত্রিশূল হাতে দেখা যায়। এছাড়াও তার প্রতীকী প্রাণী ডলফিন, ঘোড়া ও ষাঁড়।
অ্যাথেনা
গ্রিক পুরাণে অ্যাথেনা ছিলেন জিউস ও মেটিসের কন্যা। তিনি প্রজ্ঞা, ন্যায়বিচার, শক্তি ও শিল্পকলার দেবী। কুমারী এ দেবী ছিলেন যুদ্ধে পারদর্শী ও সাহসীকতার মূর্ত প্রতীক। রোমানদের কাছে তিনি মিনার্ভা নামে পরিচিত।
কথিত রয়েছে, জিউসকন্যা অ্যাথেনার জন্ম হয়েছিল জিউসের মাথা থেকে। অ্যাথেনা গর্ভে থাকা অবস্থায় তার মা মেটিসকে জিউস জ্যান্ত গিলে ফেলেন। কিন্তু কিছুদিন পরই দেবরাজ জিউস মাথায় তীব্র ব্যথা অনুভব করলেন। জিউসকে এ ব্যথা থেকে উপশম দিতে আসেন হেফাস্তুইস। তিনি তার কুড়াল দিয়ে জিউসের মাথা চিরে দু’ভাগ করতেই মাথার ভেতর থেকে বেরিয়ে আসেন যুদ্ধের দেবী অ্যাথেনা।
পুরাণ অনুযায়ী, অ্যাথেনা প্রাপ্তবয়স্কা হয়েই জন্ম নেন। যুদ্ধ কৌশলে তিনি এতটাই সুনিপুণ ছিলেন যে, বাবা জিউস ও তিনি একই অস্ত্র ব্যবহার করতেন। ট্রয় যুদ্ধে অ্যাথেনা গ্রিকদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।
অ্যাথেনার প্রতীকী পাখি পেঁচা ও প্রতীকী প্রাণী সাপ। এছাড়াও অন্যান্য প্রতীক হিসেবে রয়েছে জলপাই গাছ, বর্শা ও শিরস্ত্রাণ।
** গ্রিক দেব-দেবীর উপাখ্যান-৪
** গ্রিক দেব-দেবীর উপাখ্যান-৩
** গ্রিক দেব-দেবীর উপাখ্যান-২
** গ্রিক দেব-দেবীর উপাখ্যান-১
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৫
এসএস