‘ক্রিস’। না, এটা কোনো মানুষের নাম নয়।
লোমের কারণে হাঁটা চলা, শোয়া-বসা, এমনকি বাথরুম করাও হয়ে উঠেছে কষ্টকর। আর লোমের কারণে সারা গায়ে বাসা বেঁধেছে নানা পরজীবী, উকুন ইত্যাদি। সব মিলিয়ে লোমের কারণে জীবন অতিষ্ঠ ওর।
ক্রিস নামের এই ভেড়াটি অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরার একটি খামারের বাসিন্দা। বছর পাঁচ আগে ভেড়ার পাল থেকে দলছুট হয়ে হারিয়ে যায়। এরপর বেচারা এই ক’বছর একা একাই লোকচক্ষুর আড়ালে ঘুরে বেরিয়েছে। ইত্যবসরে ওর গায়ের লোম ছাঁটেনি কেউ। ফলে এই সময়ে ক্রিস তার শরীরে ৪০ কেজি ২ গ্রাম লোম জমিয়ে রীতিমতো কুমড়ো পটাশের আকার নিয়েছে।
গত বুধবার ক্যানবেরার উপকণ্ঠে সম্প্রতি স্থানীয় এক বাসিন্দার চোখে পড়ে ক্রিস। ও তখন অতিরিক্ত লোমের ভারে হাঁটতেই পারছিল না। পরে ওকে ফিরিয়ে আনা হয় ওর নিজ বাসস্থান সেই খামারে। ওকে বাঁচাতে হলে ওকে শিগগিরই ওকে ওর ৪০ কেজি ২ গ্রাম ওজনের লোমের ভার থেকে মুক্তি দিতে হবে। এরই মধ্যে ভেড়ার লোম ছাঁটার কাজ করেন (শিয়ারার) এমন এক পেশাদারের শরণাপন্ন হয়েছেন ক্রিসের মালিক। RSPCA ACT নামের ভেড়ার লোম কর্তনকারী একটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ট্যাম্মি ভেন ড্যাঙ্গে নামের ওই মহিলা রাজিও হয়েছেন। কিন্তু ট্যাম্মি ভেন ড্যাঙ্গের আশংকা ভেড়ারা এমনিতেই বড়ো স্পর্শকাতর প্রাণি। লোম ছাঁটবার সময় অতিরিক্ত শকে ক্রিস অক্কা পেতে পারে।
সেটা যেন না হয় সেজন্য ট্যাম্মি ভেন চাইছেন ওকে চেতনানাশক দিয়ে অবশ করে নেবেন আগে। তারপরও আশাবাদী হতে পারছেন না মহিলা। তার আশংকা, জ্ঞান ফিরে নিজের লোমহীন শরীর দেখেও অক্কা পেতে পারে ক্রিস। তার সামনে তাই শাখের করাত---লোম থাকাও বিপদ, আবার না থাকাও।
বাংলাদেশ সময়: ০২০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৫
জেএম