মানুষের সাথে প্রাইমেট বা বানরগোত্রের প্রাণিদের নিকট আত্মীয়তার কথা আমরা জেনেছি বিবর্তনবাদ থেকে। অর্থাৎ মানুষ ও গ্রেট এপদের পূর্বপুরুষ নাকি একই।
আবার ধরুন, স্বভাব, আবেগ অনুভূতি প্রকাশের বেলায়ও এদের সাথে মানুষের বড়ো মিল পাওয়া যায়। আগে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিকল্পনা বেল মানুষই করে না; বানরজাতীয় প্রাণিরাও করে। যাকগে সেকথা।
এবার জানাচ্ছি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকির এক চিড়িয়াখানার বাসিন্দা এক গরিলার কথা। চিড়িয়াখানার দর্শনার্থী এক বালক কাচের ওপাশ থেকে ওর সাথে দিব্যি ভাব জমিয়ে ফেললো। বালকটি ওকে দেখাতে থাকল নিজের মোবাইল ফোনে তোলা ছবির পর ছবি। গরিলাটিও বেশ সুবোধ শান্ত হয়ে সাগ্রহে দেখে যাচ্ছিল সেইসব ছবি।
এরপর ওকে দেখানো হলো ওর মতো বেশ কিছু গরিলার ছবি। এবার নিজ গোত্রের প্রাণিদের ছবি দেখে গরিলাটির চোখেমুখে ফুটে উঠলো রাজ্যের বিস্ময়। আর ওর এই বিস্মিত প্রতিক্রিয়াটিও ছিল আশ্চর্য় কিছু একটা দেখার পর মানুষের প্রতিক্রিয়া যেমন হয়, অবিকল তেমন। ওর এই হতবাক চেহারার অভিব্যক্তিটাও
ইউটিউবের মাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে বিশ্বময়। একটি পত্রিকা তাই এই খবরের শিরোনাম করেছে:
‘Gorilla mesmerised by photos of other gorillas on phone.’
তারা আরও লিখেছে: ‘In an almost human-like way, the animal sat and intently watched as the boy scrolled through the images. ’
এখানেই শেষ নয়, দর্শনার্থী বালকটি দুষ্টুমি করে যতবারই বিভাজক কাচের দেয়াল থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছিল, গরিলাটিও ততোবারই নানা অঙ্গভঙ্গি দিয়ে আরও ফটো দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করে যাচ্ছিল।
পাঠক, নিজের চোখে একবার দেখুন নাহয় সেই ভিডিওটা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৫
জেএম