‘ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে’ আর ‘যার কাজ তারে সাজে..’—কথা দুটি ফেলনা নয় মোটে। শুঁড়িখানায় গেলে একথার সত্যতা মেলে।
মার্ক (পুরো নাম জানা যায়নি) নামের যন্ত্র-প্রকৌশলবিদ্যার ছাত্র মাতাল অবস্থায়ই রেখেছে তার জ্বলন্ত প্রতিভার প্রমাণ। মদে-চুর অবস্থায় সে একটা আস্ত এয়ারক্রাফটের ডিজাইন করে ফেলেছে। সে ডিজাইন অন্য কোনো ডিজাইনের নকল নয়। বরং পুরোপুরি নতুন এক ডিজাইন এটি। এমনই নিখুঁত যে ওর অন্যসব বন্ধু ও শুভার্থীরা রীতিমতো হতবাক। সবারই এক কথা, ‘এ কী করে সম্ভব?’
কথা সে নিয়ে নয়। মদেচুর অবস্থায় সে যে এই মহাকীর্তি করে ফেলেছে তার বিন্দু বিসর্গও তার আর মনে নেই। বুঝুন অবস্থা! আগের রাতে সে কী কী করেছে তার কিছুই তার আর মনে নাই---এটা সে বলেই যাচ্ছে। পরে বন্ধুরা কাগজে করা ওর নক্সাটি ওকে দেখিয়েছে। গার্ডিয়ান পত্রিকার কাছে এ-খবর পৌঁছে যায় আর তারা ওকে নিয়ে সচিত্র প্রতিবেদন ছাপে।
ও যে উড়োজাহাজের নক্সা করেছে সেটা প্রচলিত ধাচেঁর কোনো উড়োজাহাজের নক্সা নয়; এটি এক বিশেষ ধরনের প্রচণ্ড দ্রুতগতির উড়োজাহাজের নক্সা; এই উড়োজাহাজের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি ওড়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে পানির ওপর ভেসে থাকতে পারবে। একে বলা হচ্ছে ‘একরানোপ্লেন’।
ওর এই অভিনব প্রতিভার কথা জানার পেছনে যার অবদান সে তারই বন্ধু ও রুমমেট সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র কিথ ফ্র্যালে। কিথই প্রথম ওই ব্যাপারে একটি টুইট বার্তা দিয়েছিল বন্ধুর আঁকা নক্সার ছবিসহ।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৫
জেএম