সেলফি ট্রেন্ড নামে এক নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সেলফি নিয়ে অতি বাড়াবাড়ি চলে গেছে স্রেফ বাতিকের পর্যায়ে।
এই বাতিকের পেছনে নাকি আছে অতি-আত্মপ্রেম বা নার্সিসিজম। আর বাতিক মানেই তো কিছুটা হলেও অসুস্থতা। তাই বলে সেলফি নামে নেশায় একবার যাদের পেয়ে বসে বসেছে তারা তো আর এতো সহজে দমে যাবার পাত্র-পাত্রী নন। মানুষের শখ বা খেয়াল বলে কথা! অন্যের চোখে হোক তা বাতিক। আর ওঁত পেতে থাকা মুনাফালোভী ব্যবসাযীরা এ-সুযোগটাকেই নিয়েছে লুফে। তারা হাওয়া অনুকূল দেখে বাজারে ছাড়া শুরু করে দিয়েছেন ‘সেলফি-পণ্য’। সেলফিভক্তরাও তাতে অগ্নিমুখ পতঙ্গের মতো সেসব কেনার জন্য ছুটছেন। ইতিমধ্যে এক ধরনের বেসদৃশ আর লাঠির মতো লম্বা সেলফি স্পুন বা সেলফি চামচে ছেয়ে গেছে পশ্চিমা দুনিয়ার বাজার। সেলফি ব্যাপারটা যে বিশ্বজুড়ে বাজারে নতুন বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছে তা বিলেতের একটি পত্রিকার রিপোর্ট পড়লেই আঁচ করা যায়: ‘‘There’s a whole market revolving around the self-imaging movement!’’
অনেকে আবার এতোদিনকার অভ্যাস ছুড়ে ফেলে দিয়ে সাধারণ চামচের বদলে নাস্তা খাওয়ার বেলায় এই ‘সেলফি চামচ’ ব্যবহার শুরু করে দিয়েছেন। আর ব্যবসায়ীরাও ‘একটা কিনলে একটা ফ্রি’ নীতিতে পণ্যের সঙ্গে একটা সেলফি চামচও দিয়ে দিচ্ছেন। ক্রেতারাও তাতে বেজায় খুশি। এই হুজুগ কোথায় গিয়ে আর কবে যে শেষ হয কে জানে!
এই সেলফি নিয়ে এ-যাবৎ যতো বাতিক, সেসবের মধ্যে গিনেস বুক অব ওযার্ল্ড রেকর্ডস—এ নাম লেখানোটাও বাদ যায়নি। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে সবচে হাস্যকর আর চূড়ান্ত পাগলামির নমুনাটা নাকি এই ‘সেলফি চামচ’। বলা হচ্ছে, সকালে নাস্তা খাওয়ার সেলফি তোলার জন্য মোক্ষম কিছু একটা নাকি খুঁজে বেড়াচ্ছিল সেলফি-প্রেমীরা। শেষমেষ মিললো তার যুৎসই সমাধান। সেটাই এসেছে ‘সেলফি চামচ’ রূপে: ‘‘They came up with the perfect solution – the Selfie Spoon!’’
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৫ জেএম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।