ঢাকা: পৃথিবী আগেও নিরাপদ ছিল। এবারও নিরাপদই থেকে গেল।
এটি পৃথিবীকে আঘাত করেনি আবার যাত্রাপথে কোনো অঘটনও ঘটেনি।
যদিও ব্রিটিশ লেখক গ্রাহাম হ্যানকক যিনি ‘যাদুর ঈশ্বর’ নামে পরিচিতি, তিনি বলেছিলেন, প্রস্তরখণ্ডটির যাত্রা পথে অঘটন ঘটতে পারে। সেই সঙ্গে খ্রিস্টিয় পুরোহিতদের আশঙ্কাকে ফের মিথ্যা প্রমাণ করে মানব প্রজাতির বসবাসকারী গ্রহ পৃথিবী নিরাপদই রয়ে গেছে।
আবার আরেকদল বলেছিলেন, ঈশ্বরকণার খোঁজে তৈরি লার্জ হেড্রোন কোলাইডর (এলএইচসি) ওই প্রস্তরখণ্ডটিকে পৃথিবীর দিকে আর্কষণ করতে পারে। এতে করে ওই বিশাল প্রস্তরখণ্ড পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে।
কারণ, হিসেবে তারা বলেছিলেন, এলএইচসি’র পরীক্ষার ফলে যে চুম্বকীয় আবেশ তৈরি হচ্ছে, ওই আবেশ প্রস্তরখণ্ডটিকে পৃথিবীর দিকে টেনে আনতে পারে।
তবে এলএইচসি’তে গবেষণারত যে ৭৫ পদার্থবিদ গবেষণা চালাচ্ছেন, তারা এ আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, না, না। এটা অসম্ভব ব্যাপার!
২৭০ মিটার লম্বা প্রস্তরখণ্ড ২০১২টিটি৫ বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটা ৪০ মিনিটে পৃথিবীর পাশ দিয়ে অতিক্রম করে যায়।
যখন এই প্রস্তর খণ্ডটি অতিক্রম করে তখন পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ছিল ৫০ লাখ মাইল।
পৃথিবীকে অতিক্রম করে যাওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাশূন্য গবেষণা সংস্থা নাসাকে এক নারী টুইটার বার্তায় বলেন, পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার গুজবে তিনি ঘাবড়ে গিয়েছিলেন।
নাসা রসিকতা করে জানায়, মহাশূন্যে স্বর্গের চারপাশ থেকে ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর সব পাথর খণ্ড ধেয়ে আসছে। বরং সে দিকে একটা চোখ রাখুন।
এদিকে, পৃথিবীকে অতিক্রম করার সময় সামাজিক সাইটে মহাশূন্যে আলো ছুটে যাওয়ার দৃশ্য দেখে অনেকেই ঘাবড়ে যান এবং সে ভয়কে তারা এখনো কাটাতে পারছেন না। সে ছবিতে দেখা যায়, উজ্জ্বল একটা আলো মহাশূন্যে প্রচণ্ড গতিতে ছুটে যাচ্ছে।
তবে সেটি প্রস্তরখণ্ড ছিল না। সেটি শুক্রগ্রহ (Venus) ছিল বলে অনুমান করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৫
এবি
** সংঘর্ষ ছাড়াই প্রস্তরখণ্ড পৃথিবীকে পাশ কাটাবে বৃহস্পতিবার