‘চোরের দশ দিন সাধুর এক দিন’ বলে একটা কথা আছে না? সেটাই সত্য হলো। চুরি করে সব সময় পার পাওয়া যায় না।
৩৯ বছর বয়সী চোরকূলশিরোমণি চীনা মহিলার নাম জিয়াং জুলিয়ান। ধরা পড়ার পরও ‘চোরের মায়ের বড় গলা’ তার। প্রথমেই প্রথমে স্বীকারই করতে চাননি। বেরসিক পুলিশও নাছোড়। তারা তল্লাশি করেও ডায়মন্ডটি খুঁজে না পেয়ে তাকে নিয়ে যায় হাসপাতালে।
সেখানে ডাক্তাররা কলোনোস্কোপ করে পেয়ে যায় ডায়মন্ডের সন্ধান।
পুলিশের কর্নেল মানা তিয়েনমাউংপাক জানান, কলোনোস্কোপিতে ডায়মন্ডের অস্তিত্ব ধরা পড়ার পর মহিলা অগত্যা স্বীকার করেন তার অপকর্মের কথা। কিন্তু ঝামেলা বাঁধে ৬ ক্যারেটের ডায়মন্ডের টুকরাটা বের করা নিয়ে। তাকে বাথরুম করিয়ে এবং প্রচুর ল্যাক্সেটিভ খাইয়েও ডায়মন্ডটা বের করা যাচ্ছিল না। পরে রীতিমতো প্লায়ার ব্যবহার করতে হয়।
তার জন্য শুভ সংবাদটি হচ্ছে, ডাক্তাররা এটি তার পেট থেকে বের করতে পারায় তিনি বিরাট স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি থেকে বেঁচে গেলেন। নইলে এটি তার পেটের হজম প্রক্রিয়ার বারোটা বাজাতো।
আর খারাপ সংবাদটি হচ্ছে, ১০ মিলিয়ন বাথ (২ লাখ ৭৮ হাজার ডলার) মূল্যের ডায়মন্ড চুরির দায়ে তিনি ফেঁসে গেলেন। তার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দিয়েছে পুলিশ। এখন তার ঠিকানা আপাতত শ্রীঘরে। পুলিশ জানাচ্ছে, তিন তিনটি বছর তাকে সেখানেই থাকতে হবে। তার পুরুষ সঙ্গীটিও ফেঁসে গেছে একই সঙ্গে। কুসঙ্গর পরিণাম যেমনটা হয় আর কি!
বাংলাদেশ সময়: ০০১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৫
জেএম