ঢাকা: ১৯৮২ সালের পর এক বিরল দৃশ্যের দেখা মিলবে রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতের আকাশে। রাতেই স্বাভাবিকের চেয়ে বড় এক পূর্ণচাঁদ রক্তাক্ত আভায় ধরা দেবে পৃথিবীবাসীর কাছে, যাকে বলা হয় ‘সুপারমুন’।
একই সঙ্গে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে পূর্ণ দৈত্যাকার সে রক্তাভ চাঁদকে গ্রহণ গ্রাস করবে। অর্থাৎ চাঁদ ও সূর্যের মাঝামাঝি চলে আসবে পৃথিবী, শুরু হবে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ।
এমন দৃশ্য মিস করলে আপনার এ জীবনে তা অদেখাই থেকে যেতে পারে। কারণ, এজন্য আপনাকে আবার ২০৩৩ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আর গত একশ’ বছরে এমন ঘটনা ঘটেছে মাত্র পাঁচ বার।
যখন চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে নিকট কক্ষপথে চলে আসে, এবং স্বাভাবিকের চেয়ে ১৪ শতাংশ বড় দেখায় তখন তাকে ‘সুপারমুন’ বলা হয়। একটি প্রচলিত কুসংস্কার হিসেবে রক্তাভ বড় চাঁদকে অশুভ মনে করা থেকে ‘সুপারমুন’ শব্দটি এসেছে।
আইরিশ অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন থেকে টেরি মোসেলি বলেন, এটি খুবই বিরল এবং বিশেষ ঘটনা। কিছু সংখ্যক মানুষ যারা এ দৃশ্য দেখতে পাবেন তারা ভাগ্যবান। ভোরের দিকে ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় ধরে চাঁদ কমলা থেকে গাঢ় লাল রঙে রূপ নেবে। এ সময় আকাশ মেঘোচ্ছন্ন থাকতে পারে, ফলে আইসল্যান্ডে বসে এ দৃশ্য নাও দেখা যেতে পারে। এটা নির্ভর করে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ওপর।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা’র ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ উপলক্ষে লাইভ সম্প্রচার করছে নাসা টিভি। উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা আটলান্টিক মহাসাগর, গ্রিনল্যান্ড ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিরল এ দৃশ্য দেখা যাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
শেষ রাত বা সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোরের দিকে চাঁদ রক্তাভ হতে থাকবে, নামবে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ। আপনি বসে আছেন এ বিরল দৃশ্য দেখার অদম্য ইচ্ছায় কিন্তু বাংলাদেশের আকাশে এ দৃশ্য দেখতে পারছেন না। তাহলে অন্তত নাসা টিভিতে চোখ রেখে ইতিহাসের
সাক্ষী হতে পারেন আপনিও।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৫
আরএম