ঢাকা: মহাশূন্যে এবার শটগান পাঠাবে নাসা। নতুন আবিষ্কৃত এ মহাজাগতিক শটগানটি নিয়ে এখনও কাজ চলছে।
গ্রহাণুর প্রস্থরখণ্ডগুলো সংগ্রহ করা হবে যাতে অদূর ভবিষ্যতে রোবোটিক মহাকাশযান পাঠানোর সময় উল্লেখযোগ্য নমুনা পাওয়া যায়।
ব্রুকলিনভিত্তিক কোম্পানি হানিবি রোবটিক্স ও মার্কিন স্পেস এজেন্সি একযোগে এ শটগান নিয়ে কাজ করছে।
বলা যায়, এটি অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেক্ট মিশনের (এআরএম) অংশবিশেষ।
এআরএমের লক্ষ্য বিশাল গ্রহাণুকে খণ্ডিত করে তা চাঁদের কক্ষপথে স্থানান্তর করা। পরবর্তীতে একটি মনুষ্যবাহী নভোযান সেসব প্রস্থরখণ্ডকে নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করবে এবং সেগুলোকে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পৃথিবীতে পাঠাবে।
গ্রহাণু থেকে নমুনা সংগ্রহ ও এর বৈশিষ্ট্য নির্ণয় বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য বলে জানান হানিবি রোবটিক্সের এক্সপ্লোরেশন টেকনোলজি পরিচালক ক্রিস জ্যাকনি।
মার্কিন স্পেস এজেন্সি মানুষবিহীন এআরএম মহাকাশযানটি ২০২০ সালের শুরুর দিকে উৎক্ষেপণ করার কথা ভাবছে।
এর অবিচ্ছিন্ন অংশ হিসেবে, পৃথিবীর নিকটবর্তী গ্রহাণুর পৃষ্ঠ থেকে বড় প্রস্থরখণ্ডকে আওতাভুক্ত করতে রোবটচালিত মহাকাশযান ব্যবহার করবে বলে জানা গেছে। একইসঙ্গে শিলাকে অনুসন্ধানের সুবিধার্থে স্থিতিশীল চাঁদের কাছাকাছি একটি স্থিতিশীল কক্ষপথে সরিয়ে নেওয়া হবে।
নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানোর পর গ্রহাণুর নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে মানবহীন এআরএম স্পেসক্রাফটটি তার রোবটিক হাত বাড়িয়ে গ্রহাণুর পৃষ্ঠ থেকে বড় পাথরখণ্ড তুলে নেবে।
শটগানের মাধ্যমে গ্রহাণু পৃষ্ঠে গুলি করা হবে। এরপর পদার্থবিদরা প্রস্থরখণ্ডের বলের গতি পরিমাপ করে শিলার ঘনত্ব নির্ণয় করবেন।
অদূর ভবিষ্যতে অভিযানের জন্য নাসা তিনটি গ্রহাণুকে চিহ্নিত করেছে। ইতোকাওয়া, বেন্যু ও ২০০৮ ইভি৫।
প্রতি বছর নতুন একটি বা ততোধিক গ্রহাণু চিহ্নিত করে মিশনে এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।
নাসা জানায়, পুরো অভিযান জুড়েই এআরএম রোবটিক মহাশূন্যযানকে পর্যালোচনা করা হবে। কারণ, ভবিষ্যতে মানুষ বহন করায় তা কতটুকু ক্ষমতাসম্পন্ন সেটিও দেখার বিষয়।
নাসা গ্রহ বিজ্ঞানের পরিচালক জিম গ্রিন জানান, গ্রহাণু বিষয়টি গরমা-গরম! পৃথিবীর জন্য এরা হুমকিস্বরূপ বলে নয় বরং এর বৈজ্ঞানিক মূল্য রয়েছে।
এছাড়াও নাসার পরিকল্পিত এ মিশন মঙ্গল অভিযানকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে বলে জানান জিম।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৫।
এসএমএন/এসএস