‘ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন’। সোজা বাংলায় যাকে বলে ‘বাস্তব কল্পনাকেও হার মানায়’।
কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? চিকিৎসকরা বলছেন, এই অদ্ভুতুড়ে ঘটনার জন্য দায়ী আসলে এক ধরনের জিনগত ত্রুটি। খুবই বিরল এই ত্রুটি। কিন্তু কেন শুধু একটিমাত্র গ্রামের সব মেয়েশিশু এহেন প্রাকৃতিক গোলমালের শিকার? কেনই বা কেবল ১৩ বছরে পা দেবার পরপরই এমনটা হচ্ছে? এই দুটি প্রশ্নের কোনো যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা কেউই দিতে পারছেন না আপাতত। ফলে রহস্যটা রহস্যই থেকে যাচ্ছে।
তবে একটা ব্যাখ্যা চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা হাজির করেছেন। এমনটা নাকি হতেই পারে---বিরল হলেও এমন ঘটনা একেবারে অসম্ভব নয়। ১২ বছর পার হবার পর যেসব মেয়ের শরীরে পুরুষের অঙ্গ গজিয়ে ওঠে বিজ্ঞানীরা তাদের একটা বাহারি নাম দিয়েছেন—‘গেভেদোসেস’। যার আক্ষরিক অর্থ করলে দাঁড়ায় ‘পেনিস অ্যাট টুয়েলভ’। মানে ১২ বছরে পুরুষে রূপান্তর। যদিও বাস্তবে ১২ বছর পেরিয়ে ১৩ বছরে পা দেবার পরই এদের বেলায় ঘটছে এমন ঘটনা। দশকের পর দশক ধরে ঘটে চলেছে এটা।
এমন ঘটনার শিকার একজনের বর্তমান নাম জনি। এখন সে ২৪ বছরের টগবগে তরুণ। সে জন্ম নিয়েছিল মেয়ে হয়ে। তখন তার নাম ছিল ফেলিসিতিয়া। BBC2 series “Countdown to Life – the extraordinary making of you" নামের অনুষ্ঠানের পক্ষ থেকে ওর মতো ছেলে হয়ে যাওয়াদের কথা হয়।
“আমার মনে আছে যখন ছোট্ট মেয়েটি ছিলাম তখন লাল রঙের সুন্দর একটা পোশাক পরতাম। স্কুলে যাবার সময় পরতাম স্কার্ট। ’—বলছিল ফেলিসিতিয়া থেকে জনি হয়ে ওঠা এই মানবসন্তান। আহা, প্রকৃতির কতো না খামখেয়াল!
বাংলাদেশ সময়: ০২১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৫
জেএম