ঢাকা: ছবি তুলতে ভালোবাসেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বর্তমানে ফটোগ্রাফি বেশ জনপ্রিয় একটি বিষয়।
একটি মনমতো ছবি তুলতে আপনি কী কী করতে প্রস্তুত? কোথায় বা কতদূর যাবেন আপনি? তুষার পাহাড়ের দুর্গম চূড়া নাকি জ্বলন্ত লাভার আগুনে পা ডুবিয়ে খুঁজবেন দুর্লভ কোনো মুহূর্ত!
আলোকচিত্রীদের তোলা অসাধারণ সব ছবির আড়ালে হারিয়ে যায় ছবিটি তোলার মুহূর্তগুলো। এবারের ধারাবাহিক আয়োজন দুঃসাহসিক সেসব আলোকচিত্রীদের ছবি তোলার মুহূর্তগুলোর গল্প নিয়ে। যারা বলতে গেলে জীবন বাজি রেখেই ছবি তোলেন। তৃতীয় পর্বের ছবিগুলো দেখে নিন।
জলের প্রাণী খুব সজাগ। মানুষের অস্তিত্ব টের পেলেই লুকিয়ে পড়ে এদিক-ওদিক। তাই বলে মানুষও দমে যাওয়ার পাত্র নয়। এসব স্পর্শকাতর প্রাণীদের ছবি তুলতে ছদ্মবেশেই না হয় নেমে পড়া যাক জলে!
পুলিশ দেখে ভয় পায় না এমন মানুষ খুব কমই রয়েছে! না, পুলিশ দেখতে ভয়ঙ্কর নয়, তবে তার দাপটের কথা ভেবেই আতঙ্কগ্রস্ত হয় সবাই। তবে এ ফটোগ্রাফারের কী হলো! পুলিশ তার দিকে বন্দুক তাক করে রয়েছে, আর তিনিও তাক করেছেন তার অস্ত্র। না বন্ধুরা, সেই অস্ত্র আগ্নেয়াস্ত্র নয়, সময় বন্দি করে রাখার অস্ত্র।
চার বন্ধু মিলে বনে গিয়েছিলেন। হয়ত প্রাণী বৈচিত্র্যের ছবি তুলতেই সেখানে যাওয়া। অতঃপর কী হলো! ওমা, এ যে বিশাল ভাল্লুক রে বাবা! যত সাহসই থাকুক না কেন, ভাল্লুকের মুখরোচক আহারে নিশ্চয়ই কেউ পরিণত হতে চান না! তাই ছবি তোলা শিকেয় তুলে পড়িমরি করে দৌড় চার বন্ধুর।
ফটোগ্রাফিতে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো সেলফি। তা সেলফোন ক্যামেরা হোক বা ডিএসএলআর। তাই বুঝি এ আলোকচিত্রী নীলরঙা পাখিটির সঙ্গে মেতে উঠেছেন সেলফি তোলায়। আর পাখিটিও তার মাথায় চড়ে দারুণ ভঙ্গিমায় পোজ দিচ্ছে!
ঝুমঝুম বৃষ্টি। তাতে কী! ডিএসএলআরকে ছাতা পরিয়ে বন্দি করা যাক বর্ষণঘন বিকেলের সতেজ মুহূর্ত।
হঠাৎ চলার পথে। মেমসাহেব, একটু দাঁড়াও, আমায় মনের মতো খানিক ছবি তুলতে দাও! তারপরেই চিৎপটাং হয়ে শুরু হলো ক্লিক ক্লিক আর ক্লিক।
পথের মাঝে জমে থাকা জল এড়িয়ে যখন সব পথচারী নিজের মতো হেঁটে চলছেন, তখন এ সুন্দরী কী এমন মানিক-রতন খুঁজে পেলেন জলের ভেতর কে জানে!
শিম্পাঞ্জিকে তুলে দেওয়া ছবিগুলোই বুঝি দেখাচ্ছেন এ আলোকচিত্রী। আর শিম্পাঞ্জিও গভীর আগ্রহ নিয়ে দেখছে সেসব ছবি।
ছবি: ইন্টারনেট
বাংলাদেশ সময়: ০২২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৫
এসএমএন
** আলোকচিত্রে আলোকচিত্রীর গল্প-১
** আলোকচিত্রে আলোকচিত্রীর গল্প-২