ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

মায়ের ভূমিকায় নার্স

বাংলানিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৫
মায়ের ভূমিকায় নার্স

একটা একমাস বয়সী বাচ্চার অস্ত্রোপচার চলছিল হাসপাতালে। এরই মধ্যে সে জুড়ে দেয় কান্না।

থামার নামটি নেই। এদিকে বাচ্চাটার কান্না বন্ধ না করলে যে অস্ত্রোপচার চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়! পাশের একটি অস্ত্রোপচার কক্ষে অস্ত্রোপচারের কাজে ব্যস্ত ছিলেন একজন নার্স। তিনি শুনতে পেলেন হাসপাতালে একটি ছোট্ট বাচ্চার অস্ত্রোপচার মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেছে কান্না জুড়ে দেবার কারণে। নিজের অস্ত্রোপচারের কাজ শেষ করে নার্স ছুটলেন সেই অস্ত্রোপচার কক্ষের দিকে যেখানে বাচ্চাটার অস্ত্রোপচার চলছিল। তিনিও দুগ্ধপোষ্য একটি শিশুর মা। ক্ষুধায় কাতর ছোট্ট বাচ্চাটাকে দেখে নার্সের সন্তান বাৎসল্য উথলে উঠল। তিনি ভাবলেন বাচ্চাটার কান্না বন্ধ করবার একটাই উপায়--- ওকে স্তন্য দান করা। তিনি আর দেরি করলেন না। স্তন্যদান শুরু করে দিলেন। তার ধারণাই ঠিক হলো। পেটের খিদে দূর হওয়ায় এক সময় বাচ্চাটার কান্নাও বন্ধ হলো। আবার শুরু করা সম্ভব হলো অস্ত্রোপচার।

ঘটনাটি ঘটেছে চীনের এক হাসপাতালে। মাতৃরূপিনী ওই নার্সের নাম লি বাউসিয়া। আর বাচ্চাটার নাম ওয়েই ওয়েই।

চীনের একটি ইংরেজি দৈনিক এ ব্যাপারে প্রতিবেদন ছেপেছে। তারা জানিয়েছে, বাচ্চাটার বয়স মাত্র এক মাস । তার উপর ওর ওজন এতোই কম ছিল যে ওকে কেবল লোকাল অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া সম্ভব হয়েছিল। বাচ্চাটা কান্না শুরু করায় এক পর্যায়ে ডাক্তারটা অস্ত্রোপচার বন্ধ করে দেবার কথাও ভাবছিলেন। তখনই দেবদূতীর মতো ওই নার্স গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিলেন। তার এই ভূমিকার জন্য অস্ত্রোপচার দলের প্রধান ঝাও ঝেংউয়ান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বললেন , ‘‘আমি অভিভূত’’।  

আর বাচ্চার বাবার কৃতজ্ঞতাবোধের তো সীমা পরিসীমাই নেই। এমন বিপদের মুহূর্তে ওই নার্স ছুটে না এলে তার বাচ্চাটাকে সুস্থ করে তোলাই যে সম্ভব হতো না। তাই তিনি নার্স লি বাউসিয়াকে ‘দেবদূতী নার্স’ আখ্যা দিয়েছেন। বাউসিয়াকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘আপনি শুধু আমার বাচ্চাটাকে সারিয়েই তোলেন নি, ওকে বুকের দুধও পান করিয়েছেন। ওর পিতা হিসেবে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমার নেই। ’’

বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, অক্টোবার ৪, ২০১৫
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।