আগের দিনে পুবে বা পশ্চিমে, দুনিয়ার সবখানে, সবদেশেই পরিবার মানেই ছিল যৌথ পরিবার। সেখানে দাদী-নানী, দাদা-নানা সবাই ছিলেন।
একালের শহুরে মা-বাবারা অফিস করবেন না বাচ্চা পালবেন? এ-নিয়ে স্বামী-স্ত্রীদের মধ্যে হামেশাই খটাখটি লাগে। পশ্চিমা দেশগুলোতে ডে-কেয়ার সেন্টারগুলোই ভরসা। কিন্তু ডে-কেয়ার সেন্টারগুলোতে রাশানদের মন ভরে না। তারা চায় বাড়িতে বসে ‘বাবুশকারা’ (রাশান ভাষায় ‘দাদি’ বা ‘নানী’) তাদের সন্তানদের দেখভাল করুন। এবার তারও ব্যবস্থা হয়ে গেছে।
হ্যাঁ, নি:সঙ্গ অনেক বয়স্ক নারী নিজেদের সময়কে ভরিয়ে রাখতে বিনা খরচে লোকের বাড়িতে গিয়ে বাচ্চা লালন পালনের জন্য নাম লেখাতে শুরু করেছেন। ঘরের মধ্যে একা একা একঘেয়ে সময় কাটানোর চেয়ে এইসব দিদিমা বাচ্চাদের সান্নিধ্যে কোয়ালিটি সময় কাটানোর মধ্যেই সুখ খুঁজছেন। আর এজন্য গড়ে উঠেছে কিছু চ্যারিটি সংস্থা। এসব সংস্থায় কর্মজীবী নারী পুরুষরা যোগাযোগ করেই পেয়ে যাচ্ছেন বাচ্চাদের জন্য দিদিমা নানিমা: ‘Russian families are able to "borrow a babushka" as part of a charity service aimed at increasing pensioners' quality of life...’
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর পাশেই ভ্লাদিমির অঞ্চলে "granny for an hour" নামের চ্যারিটি প্রজেক্ট খোলা হয়েছে। চাকুরিজীবী বাবা-মায়েরা দলে দলে এসব প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হচ্ছেন। হবেন না-ইবা কেন! এই দিদিমারা তো আর টাকা পয়সার জন্য এসব করছেন না। তারা মনের শান্তির জন্য বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটাতে আগ্রহী। আর ‘‘গ্র্যানি ফর অ্যান আওয়ার’’ বলা হলেও এরা দিনের একটা বড় অংশ সেবা দিচ্ছেন। জয়তু ‘বাবুশকা’!
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৫
জেএম