‘প্রকৃতির খেয়াল’ বলে একটা কথা আছে। আর একারণে অনেক প্রাণির অস্বাভাবিক দেহ কাঠামো নজরে আসে আমাদের।
ছোটবেলায় যারা সুকুমার রায়ের ছড়া-কবিতা পড়েছেন তারা জানেন, কীসব অদ্ভুত নাম দিয়েছিলেন তিনি তার কল্পিত প্রাণিদের। যেমন, হাঁস ও সজারু—এই দুই প্রাণির বৈশিষ্ট্যঅলা কল্পিত প্রাণির ছবি এঁকে তিনি নাম দিয়েছিলেন ‘হাঁসজারু’। আবার ডাইনোসর সদৃশ কল্পিত প্রাণির ছড়া লিখে ও ছবি একেঁ গেছেন তিনি; যে প্রাণি সারাক্ষণ কেবলই চিল্লায়। ওই প্রাণির নাম তিনি দিয়েছিলেন ‘চিল্লানোসোরাস। এবার বাস্তবেও অদ্ভুত-দর্শন একটি প্রাণির দেখা মিলেছে। যার শরীরটা মোষের আর মাথাটা কুমীরের। প্রাণিটি পাওয়া গেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে। সেখানকার একটি ওয়েব সাইট এই খবর জানিয়ে একটি ভিডিও আপলোড করেছে। আর সেখানে তারা শিরোনাম দিয়েছে: ‘‘Weird animal with 'body of buffalo and head of crocodile' baffles everyone.’’
অনেক সময় জিনগত ত্রুটির কারণে অনেক প্রাণি স্বাভাবিক আকার-আকৃতি নিয়ে জন্ম না নিয়ে জন্ম নেয় কিম্ভূত আকার-আকৃতি নিয়ে। কিন্তু থাইল্যান্ডে যেটা ঘটেছে তেমনটা এর আগে কেউ দেখেনি। কেউ কেউ বলছেন এই ঘটনা কল্পবিজ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত সিনেমাকেও হার মানিয়েছে।
ওই প্রাণিটির জন্ম হয়েছে থাইল্যান্ডের প্রত্যন্ত এক গ্রামে। সারা গায়ে মাছের মতো আঁশওয়ালা এই প্রাণির ত্বক দেখতে অবিকল কুমীরের মতো। আর এটি চার পা অলা। পায়ে আবার গরু বা মোষের মতো খুর আছে। অর্থা স্তন্যপায়ী প্রাণি ও সরিসৃপ ---এ ধরনের প্রানির বৈশিষ্ট্য আছে এর দেহে :‘‘The strange creature appears to have characteristics of a mammal and others of a reptile.’’
আর এটির জন্মও হয়েছে একটি মোষের পেট থেকে। জন্ম নেবার পরপরই এটি মারা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা এমন অদ্ভুতুড়ের প্রাণির জন্ম নেওয়াকে এলাকার জন্য ঈশ্বরের আশির্বাদ বলে মনে করছেন। কেউ কেউ একে ‘বাফালোকোডাইল’ আবার কেউ কেউ ‘ক্রকাডুফালো’ নামে অভিহিত করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৫
জেএম