কপালে থাকলে কী না হয়! কপাল জোরে কখন যে গরিবের ভাগ্য বদলে যায় আর কপাল খারাপ হলে ধনীও হয়ে যায় নির্ধন। ‘আজ রাজা কাল ফকির’ কথাটা যেমন সত্যি, তেম্নি সত্যি উল্টোটাও।
অথচ হেউডের ভাগ্যটা এই সেদিনও কতো না খারাপ ছিল। পুরো একটা বছর নানা ঝড় বয়ে গেছে ওর মনের ওপর। এই এক বছরে তিনি তার দাদাকে হারিয়েছেন। টাকার অভাবে তার বাবার অপারেশন পর্যন্ত হচ্ছিল না। তবু তার প্রতিজ্ঞা ছিল যেভাবেই হোক বাবার জন্য ‘সম্ভাব্য সেরা চিকিৎসা’র ব্যবস্থা তিনি করবেনই করবেন। কিন্তু কিভাবে করবেন জানা ছিল না। বলা বাহুল্য তার বাবা হার্ট ও লাং ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য অপেক্ষমান ছিলেন এতোদিন ধরে। এবার পড়ে-পাওয়া ভাগ্যের গুণে সে ব্যবস্থাও হয়ে গেল।
এরই মধ্যে দামি গাড়িসহ নানা দামি দামি জিনিস কেনার ধুম লাগিয়ে দিয়েছেন হেউড। দেবেনই বা না কেন? টাকা তো আর সামান্য নয়, ১৩,২১৩,৮৩৮.৬৮ পাউন্ড বলে কথা।
নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, "আমি বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না যে এতো-এতো টাকার দান মেরেছি আমি। এটা খুবই দারুণ ব্যাপার। এখন সবার আগে আমি আমার বাবার সেরা চিকিসার ব্যবস্থা করবো। আর সব কিছুর চেয়ে এটাই সবচে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সবার আগে হলো পরিবার। ’’ বাবার পেছনে দরকার হলে সব টাকা ঢালবেন তিনি। যাতে করে তিনি আবার তার সুস্বাস্থ্য ফিরে পান।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৫
জেএম/এমজেএফ/