বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকে ফিরে: বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভেতরে বন্য পশুপাখির জলের উৎস সৃষ্টি ও মাছের বিচরণের জন্য ৫০ হেক্টর এলাকায় ৮টি জলাধার খনন করা হয়েছে। জলাধার পারাপারে রয়েছে ঝুলন্ত সেতু ও কাঠের সাঁকো।
সবুজ বেষ্টনি ঘেরা জলাধার পারাপারে কাঠের সাঁকোগুলোর উপরে দেওয়া হয়েছে ছনের ছাউনি। উষ্ণ আবহাওয়ায় ঝুলন্ত সেতু ও সাঁকো পার হলে জলাধার বেয়ে আসা শীতল বাতাস মন ভরিয়ে দেয়। সব থেকে চমৎকার বিষয় হচ্ছে, দর্শনার্থীরা যখন সাঁকো পার হন, তখন সাঁকোর নিচে চলে আসে লাল, সাদা, হলুদ ও কালো রঙের নানা প্রজাতির মাছের ঝাক।
মূলতো খাবারের জন্যই সাঁকোর নিচে মাছের ঝাকের এ আনাগোনা। এই সাঁকো পার হতে ফি দিতে হয় ২০ টাকা। এর সঙ্গে ফ্রি ৫০ গ্রাম ওজনের মাছের খাবারের একটি প্যাকেট। দর্শনার্থীরা মাছকে খেতে দিয়ে আনন্দ পান। খাবার ছোড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা খেতে রীতি মতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় মাছগুলোর মধ্যে। যা দেখে অভিভূত হন দর্শনার্থীরা।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে জলাধারের চারপাশে। দর্শনার্থীরাও মাছের সঙ্গে খেলায় মেতেছেন।
নগরীর মগবাজার মধুবাগ থেকে সাফারি পার্কে স্বপরিবারে বেড়াতে এসেছেন আব্দুল হালিম। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন স্ত্রী তানিয়া আনজুম ও শিশু সন্তান অনিক আয়মানকে।
মাছের সঙ্গে খেলা প্রসঙ্গে হালিম বলেন, আমার বাচ্চা খুবই মজা পাচ্ছে। মাছকে খাবার দিচ্ছে আর মাছগুলো ছুটে আসছে। আমার বাচ্চাতো বার বার বলেই ফেলছে, ‘বাবা বাবা লাল মাছ দিয়ে ভাত খাবো। ’
দর্শনার্থীদের বসার জন্য জলাধারের মাঝখানে চক্রাকৃতির ছনের ছাউনি করে দেওয়া হয়েছে। তপ্তরোদে কেউ একবার এখানে বসলে স্থান ত্যাগ করতে ইচ্ছে করবে না।
অন্যদিকে, বিশাল জলাধারের পাশে কবুতরসহ নানা পাখির জন্য ছোট ছোট ঘর তৈরি করা হয়েছে। তবে, জলাধার, ঝুলন্ত সেতু ও সাঁকো নির্মাণের কাজ এখনও অনেক বাকি। এই বিষয়ে
নানা পরিকল্পনার কথা বললেন বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিব প্রসাদ ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, ছোট ছোট জলাধার বা লেক নির্মাণের পাশাপাশি ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ লেক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এই লেকের চওড়া হবে ১০০ মিটার। এতে করে সাফারি পার্কের পানির চাহিদা পূরণ হবে। লেকের চারপাশে দেশ-বিদেশ থেকে অতিথি পাখি ঘুরতে আসবে। লেকের উপরে আরও নান্দনিক ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে ডলফিন শো গ্যালারির নির্মাণ করা। সাফারি পার্কের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা লেকটি হুমায়ুন আহমেদের নুহাশ পল্লী পযর্ন্ত গেছে। এটির আরও উন্নয়ন করে নানা ধরনের রঙিন মাছ ছাড়া হবে। দর্শনার্থীরা যাতে করে মাছের সঙ্গে আরও বিনোদন করতে পারেন। ’
বাংলাদেশ সময: ০৯০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৫
এমআইএস/পিসি
** মানুষের ঠোঁট থেকে খাবার ঠুকরে নেওয়া ম্যাকাও
** সিংহ শাবকের পুরুষ মা!