ঢাকা: অশ্বগন্ধা এক প্রকার ওষুধি গাছ। এটি ইন্ডিয়ান জিনসেং নামেও পরিচিত।
প্রয়োজনীয় উপাদান
অশ্বগন্ধাতে রয়েছে এন্টি-ইনফ্লেমেটরি, এন্টি-স্ট্রেস, এন্টি-টিউমার, এন্টি-অক্সিডেন্ট ও ইমিউন এনহান্সমেন্ট উপাদান।
উপকারিতা
অশ্বগন্ধা সাধারণত আর্থ্রাইটিস, এনজাইটি, হেচকির প্রকোপ, ইনসমনিয়া, টিউমার, অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, লিভার, যক্ষ্মা ও ত্বকের সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত একটি উপাদান।
এটি শরীরে টনিক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া শরীরকে প্রতিদিনের স্ট্রেসের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে অ্যাডাপটোজেন হিসেবে কাজ করে। অশ্বগন্ধা মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ায়।
শরীরের নানা ধরনের ব্যথা ও প্রদাহ নির্মূল এবং বয়সের ছাপ নিয়ন্ত্রণ করতে অশ্বগন্ধার জুড়ি নেই। প্রজনন ক্ষমতা বাড়াতেও এটি উল্লেখযোগ্য উপকরণ।
ভেষজ এ উপাদানটি মস্তিষ্ককে ঠাণ্ডা রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, কোলেস্টেরল কমায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ক্যানসার প্রতিরোধক অশ্বগন্ধা থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে।
ব্যবহার
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় মূলত অশ্বগন্ধার বিচি ও শিকড় ব্যবহৃত হয়। অশ্বগন্ধা ক্যাপস্যুল ও গুঁড়া হিসেবে পাওয়া যায়। গুঁড়ো একগ্লাস পানিতে মিশিয়ে বা খাবারের সঙ্গে খাওয়া উচিত। আবার বিশেষজ্ঞদের মতে, অশ্বগন্ধার ক্যাপস্যুল খাবারের সঙ্গে খাওয়া ঠিক নয়।
অশ্বগন্ধা কোন রোগের জন্য কতটুকু বা কোন নিয়মে খাবেন তা অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নেওয়া উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৫
এসএমএন/এএ