ঢাকা: চীনে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বিস্ময় গ্রেট ওয়াল বা মহাপ্রাচীর। অবশ্য এটা নতুন কোনো খবর নয়।
সম্প্রতি চীনের মূল মহাপ্রাচীরের অনুরূপে দেশটিতে নির্মাণ করা হয়েছে আরও একটি গ্রেট ওয়াল অব চীনা। ঐতিহাসিক মূল অবকাঠামোর অনুকরণে ২ দশমিক ৫ মাইল বা ১৩ হাজার দুইশো ফুট দীর্ঘ দূর্গ ঘেরা এ অনুরূপ সংস্করণটির স্থান চীনের ন্যানছাংয়ে।
খ্রিস্টপূর্ব ২২০-২০৬ অব্দে নির্মিত মূল প্রাচীরটির দৈর্ঘ্য ১৩ হাজার একশো ৭০ মাইল।
বলা হচ্ছে, রেপ্লিকা মহাপ্রাচীরটি মধ্য চীনের স্থানীয় পর্যটন অঞ্চলের অংশবিশেষ। যদিও এর নির্মাণ কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি, তারপরও এখানে প্রচুর পর্যটকের সমাগম রয়েছে। মূল মহাপ্রাচীরের মতো অনুরূপ প্রাচীরটিও পর্বতমালার ওপর পাথর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাচীরগুলো অবিকল সত্যিকারের গ্রেট ওয়ালের মতো পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে বিভক্ত।
চীনের প্রচার মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রেপ্লিকা মহাপ্রাচীরটি এতটাই বাস্তবিক যে পর্যটক নিজেরাই সত্যিকার মহাপ্রাচীরের সঙ্গে এটিকে গুলিয়ে ফেলছেন।
তবে এ বছর এটিই গ্রেট ওয়ালের প্রথম রেপ্লিকা নয়। চলতি বছর একই সময়ে অর্থাৎ এপ্রিলেই মধ্য চীনের ওউহানের একটি স্কুলে গ্রেট ওয়ালের মতো একটি কাঠামো তৈরি হয়েছে। কয়েকটি গার্ড টাওয়ারসহ স্কুল নির্মিত ওই প্রাচীরটি লম্বায় প্রায় এক মাইল দীর্ঘ।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, এর নির্মাণ খরচ চার লাখ পাউন্ড বা প্রায় চার কোটি আশি লাখ টাকার মতো। স্কুলের এক মুখপাত্রের মাধ্যমে জানা যায়, এ প্রাচীরটি দেখতেও প্রচুর পর্যটক আসছেন।
চীনের বিখ্যাত গ্রেটওয়াল বা মহাপ্রাচীর মানুষের তৈরি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কাঠামো। প্রায় এক হাজার বছর ধরে এ প্রাচীর তৈরি হয়েছে।
চীনের মহাপ্রাচীর নির্মাণের পেছনে মূল কারণ ছিলো, উত্তরের দিক থেকে শত্রুদের আক্রমণ থেকে প্রতিরক্ষা।
ন্যানছাংয়ের রেপ্লিকা মহাপ্রাচীরটি মূল প্রাচীরের ৯শ ৪৩ মাইল দূরে অবস্থিত। এ দু’টির মধ্যবর্তী দূরত্ব মাত্র দুই ঘণ্টা।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৫
এসএমএন/এএ