ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

হাতির পালের কাছে প্রাণভিক্ষা!

বাংলানিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৫
হাতির পালের কাছে প্রাণভিক্ষা!

হাতির অভয়াশ্রমের ভেতর দিয়ে চলে গেছে পিচঢালা সড়ক। সেই সড়ক দিয়ে রোজকার মতোন এক তরুণ যাচ্ছেন তার মোটর সাইকেল চালিয়ে।

এক পর্যায়ে তিনি এসে পড়লেন এক পাল বাচ্চা হাতির পালের সামনে। মোটর সাইকেলের বিরক্তিকর শব্দে হাতিগুলোর মেজাজ গেল বিগড়ে। আর যায় কোথা! একটা বাচ্চা হাতি তেড়ে-ফুঁড়ে গিয়ে শুঁড়ের এক বাড়িতে মোটর সাইকেলটাকে আছড়ে ফেলল। অবশ্য ভাগ্য ভালো মোটর সাইক্লিস্টের। আগেভাগেই পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে মোক্ষম সময়ে লাফিয়ে রাস্তার পাশের ঝোঁপের ওপর গিয়ে পড়লেন। কিন্তু হস্তিযূথের রাগ তাতেও কমলো না! এবার ওরা তরুণ মোটর সাইক্লিস্টের দিকে গেল তেড়ে। বেচারা তরুণের আর পালাবার উপায়টুকুও নেই। ছিল কেবল উপস্থিত বুদ্ধিটুকু। তিনি যেখানে ছিলেন সেখানটায় প্রণামের ভঙ্গিতে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলেন। তখনই হাতিগুলোর রাগ পড়ে গেল। বুঝিবা মায়াই হলো! তারা তাকে এবারের মতো ক্ষমাঘেন্না করে হেলে দুলে চলে গেল বনের গভীরে। পুরো ব্যাপারটা ঘটলো মাত্র কয়েক সেকেন্ডে।

কাছেপিঠেই ছিল একটা কার। সেই কারের ড্যাশবোর্ডে সংযুক্ত ক্যামেরায় পুরোটা দৃশ্য বন্দি হয়ে গেল।

ঘটনাটা ঘটেছে থাইল্যান্ডের কোরাত শহরের কাছের খাও ইয়াই জাতীয় উদ্যানে (Khao Yai national park)। ৩০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে স্থাপিত এই উদ্যানটা আসলে বন্যপ্রাণিদের একটা অভয়াশ্রম। হাতিগুলোর মেজাজা আসলে আগে থেকেই বিগড়ে ছিল। কারণ এর আগেও বিকট শব্দ করে একদল লোক ওদের পাশ দিয়ে মোটর সাইকেল চালিয়ে গেছে। আর এই তরুণ মোটর সাইক্লিস্ট যখন সামনে পড়লো তখন সব রাগ গিয়ে পড়লো তার ওপর।

কিছুদিন আগেও হাতির পালের সামনে পড়ে জীবন গেছে এক তরুণ মোটর সাইক্লিস্টের। কিন্তু এই তরুণ করজোরে ক্ষমা প্রার্থনা করে বড় বাঁচা বেঁচে গেলেন। বোঝা গেল হাতিও মানুষের ভাষা বোঝে। নইলে তাকেও হয়তো  হাতিদের রাগের বলি হয়ে বেঘোরে প্রাণটা দিতে হতো।

বাংলাদেশ সময়: ০২০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৫
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।