ঢাকা: শিশু যখন পুতুল খেলে তখন তাকে জীবনের একটা অংশ মনে করে। পুতুলটি তার বেড়ে ওঠা, জীবন-যাপন, চরিত্র ও ব্যক্তিত্বের ওপর প্রভাব ফেলে।
পুতুলের গঠন, সাজ-পোশাক ও আনুষঙ্গিক উপকরণগুলো কেন্দ্র করেই শিশুর কল্পনা প্রভাবিত হয়। খেলার ধরন পাল্টায় পুতুলের ধরন বুঝেই।
ওয়েন্ডি তাসাও কানাডার নাগরিক। চাইল্ড’স ওউন স্টুডিও ওয়েবসাইটের মালিক তিনি। ২০০৭ সাল থেকে শিশুদের অাঁকা ছবির অনুকরণে সফট টয় তৈরি করছেন ওয়েন্ডি।
এভাবে আট বছর কাজ করতে করতে তিনি বুঝতে পারেন শিশুদের কাছে পুতুল অনেকটা আদর্শের মতো। তাই এবার একটু ভিন্নভাবে ভাবতে শুরু করলেন তিনি। এমন পুতুল তৈরির কথা ভাবলেন যা হতে পারে একটি শিশুর উপযুক্ত আদর্শ, ভবিষ্যৎ স্বপ্ন ও বাস্তব অনুপ্রেরণা।
ওয়েন্ডি জানান, বর্তমানে বিশ্বে জনপ্রিয় পুতুলগুলোর তালিকায় রয়েছে বারবি, ব্রাটজ, ওয়াল্ট ডিজনির তৈরি চরিত্রগুলো। কখনওবা হলিউড ব্লকবাস্টার মুভির চরিত্র বা সুপাহিরোদের নিয়েও পুতুল তৈরি হচ্ছে।
তার ভাষ্য, বাস্তবেও এমন অনেক হিরো রয়েছেন যারা নিজেদের স্বতন্ত্রতা, বুদ্ধিমত্তা, শক্তি ও সাহস দিয়ে বিশ্বে নিজের স্থানকে চিরস্মরণীয় ও সম্মানজনক করে রেখেছেন।
ওয়েন্ডি বিশ্বের বিখ্যাত নারী চরিত্রগুলো যেমন, চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো, লেখিকা জে কে রাউলিং, নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই, কানাডার অ্যাস্ট্রেনাট রর্বাটা বন্ডার, প্রাইমেটলজিস্ট জেন গুডঅল ও সোমালিয়ার মডেল, লেখিকা, অভিনেত্রী ও সমাজকর্মী ওয়ারিস ডাইরির আদলে পুতুল তৈরি করেছেন।
ওয়েন্ডি বলেন, আমার ব্রাটজ পুতুলগুলোকে বদলে আমি বাস্তব চরিত্রগুলোকে স্থান দিয়েছি। এর জন্য কিছু কসরত তো করতেই হয়েছে। ব্রাটজ পুতুলগুলোর মেকাপ ও চেহারা বদলে নিতে প্রথমে তাদের সাবান ও গরম পানি দিয়ে ধুতে হয়েছে। তারপর চরিত্র বুঝে তাদের চুলের স্টাইল পরিবর্তন ও জামাকাপড় পরানো হয়েছে।
অতঃপর ফ্যাশনেবল পুতুলকে বদলে বাস্তব বিশ্বের অনুপ্রেরণাময়ী নারী হিসেবে তুলে ধরেছেন এ গুণী শিল্পী।
ওয়েন্ডি জানান, এখন শিশুরা অসাধারণ নারীদের প্রতীকীদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারবে। যা তাদের চিন্তাকে বিকশিত করবে অনেকখানি।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০৫২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৫
এসএমএন/এএ