আমেরিকানদের সবাই বন্দুকবাজ জাতি হিসেবে একনামে চেনে। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘ট্রিগার হ্যাপি’।
এ নিয়ে দুটো পত্রিকার শিরোনাম: ১. ‘Dog named Trigger shoots owner during Indiana waterfowl.’ hunt’
২. ‘Hunting dog named Trigger accidentally shoots owner’
অ্যালিস কার্টার নামের ২৫ বছর বয়সী এক নারী তার পোষা কুকুর নিয়ে গিয়েছিলেন এক প্রাকৃতিক জলাশয়ে জলচর পাখি শিকার করতে। তো তিনি আয়েশ করে আসন গেড়ে বসার আগে তার গুলিভরা বন্দুকটা রাখলেন পায়ের কাছে। তখনই তার প্রিয় ১০ বছর বয়সী ল্যাব্রাডর প্রজাতির চঞ্চলমতি কুকুরটা পা রাখলো সেই বন্দুকে। আর ট্রিগারে পড়লো চাপ। সঙ্গে সঙ্গে যা হবার তাই হলো---শটগান থেকে গুলি বেরিয়ে সোজা গিয়ে লাগলো তার পায়ে। যাকে বলে একদমই পয়েন্ট ব্ল্যাংক। এতে তার পায়ের পাতায় ও আঙুলে হলো মারাত্মক জখম। আহত হয়ে তাকে যেতে হলো হাসপাতালে। আপাতত সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ি ফিরেছেন। একটুখানি ভুলের কারণে তাকে বড় মূল্যই দিতে হলো। তার ভুলটা হলো, তিনি শিকারের সেফটি রুলস মানেন নি। অথচ তিনি হান্টার এডুকেশন কোর্সে ভর্তিও হয়েছিলেন। তবে প্রশিক্ষণ শেষ করেন নি। সেফটি রুলস মানলে কী আর এমন বিপত্তি হয়!
আর হ্যাঁ, শুরুতে বলেছিলাম ‘ট্রিগার হ্যাপি’ শব্দটা। মজার ব্যাপার হলো, ট্রিগার হ্যাপি’ এই পোষা কুকুরটির নামও কিন্তু ‘ট্রিগার’। কুকুরের নামের সাথে তার কাজের কতো মিল!
বাংলাদেশ সময়: ০২৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৫
জেএম