‘চিলড্রেন আর ওয়াইজার দ্যান দেয়ার এলডার্স’ ( শিশুরা তাদের বড়দের চেয়ে জ্ঞানী) নামে একটা গল্প আছে মহান রুশ লেখক লেভ তলস্তয়ের। সেই গল্পটা এমন: শিশুদের ঝগড়া দেখে বড়রা নিজেদের মধ্যে বাঁধিয়ে দেয় ঝগড়া।
মাদকবিরোধী অভিযানকালে সশস্ত্র সৈন্যরা বাড়ি বাড়ি ঢুকে লোকজনকে হেনস্থা করছিল। সৈন্যদের বাড়াবাড়িতে ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকার সব মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে এসে এর প্রতিবাদ জানাতে থাকে। এক পর্যায়ে সৈন্যদের সঙ্গে শুরু হয় বচসা। অবস্থা এক সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকে। যে কোনো সময় রক্তারক্তির আশঙ্কা। ঠিক তখনই সমূহ সংঘর্ষ শুরু হয়ে যাবে আঁচ করতে পেরে ৫ বছর বয়সের একটা বাচ্চা ছেলে সশস্ত্র সৈন্যদের দিকে এগিয়ে যায়। করমর্দনের জন্য সৈন্যদের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয় সে।
বাচ্চাটার বন্ধুত্বের এই বিরল আহ্বানকে এড়িয়ে যাবার ক্ষমতা ছিল না সৈন্যদের। অগত্যা তারাও বাচ্চাটার দিকে হাত বাড়ায়। মুহূর্তে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। উত্তেজনার আগুনে জল পড়ে আর উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কাও দূর হয়। ঠাণ্ডা মাথায় মাথা-গরম বড়দের ঝগড়া থামিয়ে দিয়ে মুহূর্তে ওই পুঁচকে বাচ্চাটা বনে যায় হিরো। একটা পত্রিকা তারই চমৎকার বর্ণনা দিয়েছে অল্প কথায়: ‘This is the brave moment a young boy calmly diffuses the tension between peace protestors and heavily-armed soldiers with a simple handshake.’ ‘মর্নিং শো’জ দ্য ডে’----এই বাচ্চাটার মধ্যে সেটাই দেখা গেছে। কে জানে একদিন আজকের এই বাচ্চাটাই হয়তো হয়ে উঠতে পারে মানবজাতির ভবিষ্যতের ত্রাতা!
বাংলাদেশ সময়: ০২০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৫
জেএম