খুলনা: ৪শ বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে গাছটি! চারদিকে ছড়িয়ে শাখা-প্রশাখা। আজও তাজা, তরুণ আর চিরসবুজ।
প্রশস্ত রাস্তার পাশে সরকারি জায়গায় এতদিন ধরে দাঁড়িয়ে থাকা গাছটি ঘিরে নানা রহস্য ঘেরা কাহিনী চলে আসছে বংশ পরম্পরায়।
রহস্যঘেরা এ তেঁতুল গাছটি বাগেরহাটের ডেমা ইউনিয়নের কালিয়া গ্রামে প্রাচীন ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিদিন গাছটি দেখতে আসেন দূর-দূরান্তের অনেক পর্যটক। গাছটির বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করেন ইতিহাস অনুসন্ধানীরা। এসব বিবেচনায় দাবি উঠেছে গাছটিকে প্রাচীন ঐতিহ্যের সাক্ষী হিসেবে টিকিয়ে রাখার। তবে বয়স নিয়ে সঠিক প্রামাণ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
কথিত আছে, বহু বছর আগে তেঁতুল গাছটির ডাল কাটেন কয়েকজন এলাকাবাসী। পরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এছাড়া গাছে কোপ দিলে কিংবা ডাল কাটলে ঝর ঝর করে পানি বের হয়ে আসে। এ কারণে কেউ গাছটির কোনো ডাল-পালাও কাটে না।
এলাকাবাসীর ধারণা, কোনো এক সময় কালিয়া সুন্দরবনের অংশ ছিলো। গাছটি সেই সময়কার।
১০ নম্বর ডেমা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য (কালিয়া গ্রামের বাসিন্দা) আতিয়ার রহমান মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) বাংলানিউজকে বলেন, তেঁতুল গাছটির বয়স ৪শ বছরের বেশি হবে। গাছটি নিয়ে অনেক রহস্য ও রূপকথা রয়েছে। গাছটির ডাল-পালা কাটলে পানি বের হয়। যা খেয়ে রোগ-ব্যাধি ভালো হয়েছে বলেও জনশ্রুতি রয়েছে।
ইতিহাস-ঐতিহ্যের অনেক দুর্লভ তথ্য অনুসন্ধানে গবেষকদের জন্য গাছটি মূল্যবান উপাদান হতে পারে মনে করেন এ ইউপি সদস্য।
কালিয়া এলাকার ষাটোর্ধ্ব শেখ তরিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমি আমার বাপ-দাদার মুখে শুনেছি এ গাছটির বয়স অনেক। আইলা-সিডরের মতো ঝড়-ঝাপ্টায়ও এ গাছের কোনো ক্ষতি হয়নি। এটা রহস্যজনক।
গাছটি সংলগ্ন দোকানের দোকানী মোল্লা আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, গাছটি কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পথিকেরা এখানে বিশ্রাম নেন। যার কারণে গাছটি ঘিরে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃক্ষপ্রেমীরা এক নজর দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন। অনেক দর্শনার্থী আসেন শুধু এ গাছ দেখার জন্য।
কালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ঘের ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, জনশ্রুতি রয়েছে, গাছটির ডালপালা কাটলে পানি পড়ে। যার কারণে গাছের ডালপালা কাটা তো দূরের কথা পাতাও ছেড়ে না কেউ।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৫
এমআরএম/এএ