ঘুমের মধ্যে বিছানা থেকে নেমে অনেকে এঘর-ওঘর হাঁটাহাঁটি করে। পরে যখন সম্বিত ফিরে আসে তখন আর কিছুই মনে থাকে না।
বিপত্তিটা বাঁধে তখনই যখন ওর বাবা সকাল ছয়টার সময় ঘুম থেকে উঠে দেখলেন যে তার মেয়ে নেই। নেই তো নেই কোথাও নেই। পরিবারটির মধ্যে তখন রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় চারদিকে খোঁজ লাগানো। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব আর পুলিশ সবাই ওকে খুঁজতে বেরয়। ঘুমের মধ্যে হাঁটার অভ্যাস ওর ছিল আগে থেকেই। তাই বলে বাড়ি থেকেই লাপাত্তা? মুহূর্তে শুরু হলো ওর খোঁজ চেয়ে লিফলেট বিতরণ, টিভি-ইন্টারনেট ও পত্রিকায় খবর প্রচার। পরিবারের লোকেরা তাদের সঙ্গে শিকারি কুকুর নিয়ে বের হলেন। খোঁজাখুঁজির তিন ঘণ্টা পর ৯ মাইল দূরের এক শহরে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে খুঁজে পেল তার কাজিনরা।
জেফারসন কাউন্টির শেরিফের কার্যালয়ের কর্মকর্তা মার্ক টেকমেয়ার বললেন: ‘ওর পায়ে কোনো জুতো পর্যন্ত ছিল না। ছিল না কোনো ফোন, কোনো টাকাকড়ি বা কোনোকিছু। বিছানা থেকে উঠে সে ঘুমের মধ্যে হেঁটে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। ’
কিন্তু এতো কাণ্ড করলেও স্লিপওয়াকার টেইলর গাম্মেল কিন্তু কিছুই আর মনে করতে পারছে না! .
বাংলাদেশ সময়: ০১০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৫
জেএম