লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে জেল থেকে প্রায়ই কয়েদি পালিয়ে যায়। পালাবার ফন্দিফিকিরও বহু রকম।
যাহোক, ওর ছদ্মবেশ এমনই নিখুঁত ছিল যে জেল প্রহরীরা তাকে এই বেশে দেখেও কিছুই বুঝতে পারেনি। কারো মনে তার এই বেশ নিয়ে এতোটুকু সংশয়ও জাগেনি। কিন্তু তবু ধরা পড়ে গেল সে অন্য কারণে। সে যখন জেলখানা থেকে বুড়িমা সেজে বেরিয়ে যাচ্ছিল তখন এক নারীপ্রহরী ভাবলো, জেলে কোনো বুড়িমা তো ঢোকেনি! তাহলে এই বুড়িমা কোত্থেকে এলো আর যাচ্ছেই বা কোথায়? তখনই তারা কলদুয়ালদোর পথ রোধ করে তাকে জেরা করা শুরু করে। আর এক নারীরক্ষীর মনে হলো, কোনো বুড়িমার তো এতো লম্বা হওয়ার কথা নয়। এভাবে দুয়ে দুয়ে চার! ধরা পড়ে গেল সে। এ ব্যাপারে একটা পত্রিকার শিরোনাম: ‘Drug trafficker tries to escape prison dressed as granny in mask, wig and frock.’
ঘটনাটা ঘটেছে ব্রাজিলের করোনেল ওদেনির গিমারেস কারাগারে। কারাগারের কর্মকর্তাদের ভাষ্য ওর মুখোশটা ছিল প্রফেশনাল হলিউড স্ট্যান্ডার্ডের। কিন্তু বিধি বাম হলে যা হয়, কলদুয়ালদোর সেটাই হলো। এমন নিখুঁত ছদ্মবেশেও কাজ হলো না। আগের সাজার সঙ্গে এবার যোগ হবে তার নতুন সাজা। অতি চালাকের এমনই বুঝি হয়!
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৫
জেএম