ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

হৈমন্তী কুসুম-কানন

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৫
হৈমন্তী কুসুম-কানন

ঢাকা: ‘সবুজ পাতার খামের ভেতর/ হলুদ গাঁদা চিঠি লেখে/ কোন পাথারের ওপার থেকে/ আনলো ডেকে হেমন্তকে?’

প্রকৃতির ডাকে বছর ঘুরে আবার এলো সোনাঝরা হেমন্তকাল। ইংরেজি মাসের হিসেবে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের দিকে আসে হেমন্ত।



উৎসবের এ ঋতুতে প্রকৃতির হাটে বসে নানারকম ফুলের মেলা। এসব ফুলের কোনোটির আগমন হয়তো শরতের শেষে হয়, তবে তারা থাকে শীত বা আরও বেশি সময় পর্যন্ত।

আবার কোনো কোনো ফুল পাঁপড়িতে শীতের আগমনী বার্তা লিখে হেমন্তে ফোটে। হেমন্তের ফুল বাগান থেকে একটু ঘুরে আসা যাক!

গন্ধরাজ

গন্ধরাজের সুগন্ধির খ্যাতির কথা সবারই জানা। বহুদলবিশিষ্ট সুগন্ধি ফুলটির ইংরেজি নাম গার্ডেনিয়া। গন্ধরাজ ফুলের রঙ সাদা। চিরসবুজ এ গাছটির প্রজাতি রয়েছে প্রায় আড়াইশোর মতো। গন্ধরাজ ফুলের ব্যাস তিন থেকে চার ইঞ্চি হয়। ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলের এ গাছটি এশিয়া ছাড়াও আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়াতে দেখা যায়।

শিউলি

শিউলি ফোটে শরতে। কিন্তু পুরো হেমন্তজুড়ে উঠানে শিশির মেখে লুটোপুটি খায় জাফরান বোঁটার সাদা ফুলটি। শিউলি ফুল রাতে ফোটে, সকালে ঝরে পড়ে। ছয় পাঁপড়ি বিশিষ্ট এ ফুলটির আবাসস্থল বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডে। একটি কথা বলে রাখা ভালো, শিউলি ফুল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও থাইল্যান্ডের কাঞ্চনাবুরি প্রদেশের জাতীয় ফুল।

হিমঝুরি

হিমঝুরি গাছের ফুলের কলি দেখতে অনেকটা বেলি ফুলের কলির মতো। পাঁচ পাঁপড়ির সাদা ফুলটি রাতে ফোটে ও ভোরের আগেই ঝরে পরে। দীর্ঘায়িত সবুজ বোঁটার ফুলগুলো লম্বা, সরু ও সুচালো। একটি ডালের সঙ্গে অসংখ্য ফুল সংযুক্ত থাকে।

গাঁদা

গাঁদা ফুল অনেক প্রজাতির ও বিভিন্ন রঙের হয়। হলুদ, কমলা, সাদা, ম্যাজেন্টা ইত্যাদি রঙের গাঁদাফুল রয়েছে। আমাদের দেশে হলুদ ও কমলা গাঁদা বেশি চোখে পড়ে। এটি মূলত শীতকালীন ফুল। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও ফ্রান্স, আফ্রিকা ও আরও বেশ কিছু জায়গায় গাঁদা ফুলের চাষ করা হয়। বিভিন্ন উৎসবে অন্দরসজ্জা ও রূপসজ্জা, পূজা ও ওষুধ তৈরিতেও গাঁদার ব্যবহার রয়েছে। বাংলাদেশের  ঝিকরগাছা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, গাজীপুর জেলার সদর উপজেলা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে প্রচুর গাঁদাফ‍ুল চাষ করা হয়।

দেবকাঞ্চন

দেবকাঞ্চন ফুল রাঙা কাঞ্চন নামেও পরিচিত। সাদা, গোলাপি ও বেগুনি রঙের ফুলটি হংকং অর্কিড নামে অনেকে চেনেন। হেমন্তের ফুল দেবকাঞ্চনের পাঁপড়ি ছয় থেকে আট সেন্টিমিটার চওড়া। ফলের পাঁপড়ির আকার এক একটি একেক রকম ও পাঁপড়িগুলো পরস্পর দূরত্ব রেখে গজায়।

বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৫
এসএমএন/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।