ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফিচার

‘টুক-টুক’ সাজে থাই সুন্দরী!

বাংলানিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৫
‘টুক-টুক’ সাজে থাই সুন্দরী!

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের রাস্তায় যাত্রীবাহী যে যানটি সবার নজর কাড়ে সেটি হচ্ছে ‘টুক-টুক’। টুক-টুক আর ব্যাংকক ---দুটো নাম যেন অঙ্গাঙ্গী।

পশ্চিমা পর্যটকদের চোখে ‘ধোঁয়া উদগীরক, কানফাটানো-শব্দ-করা আর বিশৃঙ্খলভাবে’ চলাফেরাকারী বলে নেতিবাচক তকমায় ভূষিত হলেও এই অটো-রিকশাটি ব্যাংককের সড়ক-ঐতিহ্যের ব্র্যান্ডনেম হয়ে গেছে। স্বল্প আয়ের মানুষের প্রিয় এই বাহনটি এবার দুনিয়া মাতাবে। কৃতিত্বটা থাই সুন্দরী আনিপর্ন চালেরম্বুরানাওং(Aniporn Chalermburanawong )—এর।

যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৫ সালের মিস ইউনিভার্স প্রতিয়োগিতার ন্যাশনাল কস্টিউম রাউন্ডে গতানুগতিক জাতীয় পোশাকের স্থলে তিনি নিজেকে সাজাবেন টুক-টুকের সাজে। মানে তার পুরো দেহটাই রূপ নেবে একটা টুক-টুকের। তার পোশাকটায় হেড লাইট, হ্যান্ডলবারসহ অনেক কিছুই থাকবে যা টুক-টুকের থাকে। তাবৎ দুনিয়ার মানুষের কাছে নিজের দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য থাইল্যান্ডের মানুষের নিত্যদিনের প্রিয় এই বাহনটিকেই বেছে নিয়েছেন আনিপর্ন। তাতেই বাজিমাত! ৩৫৬টি এন্ট্রির মধ্যে তার ডিজাইনটাই জিতে নিয়েছে পুরস্কার। ডিসেম্বরে এই পোশাক পরেই পেজ্যান্টে হাজির হবেন ভূবনমোহিনী, লাস্যময়ী এই থাই নারী। খবরের শিরোনাম: ‘‘Thai beauty queen to dress like a tuk-tuk at Miss Universe .’’
 
পোশাকটির নামও রাখা হয়েছে ‘টুক-টুক থাইল্যান্ড’("Tuk Tuk Thailand") ।  

দ্য মিস ইউনিভার্স থাইল্যান্ড ওরগ্যানাইজেশন তাদের ফেসবুক পেজে এই পোশাকটিকে বেছে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সম্প্রতি। সেখানে এ-ও বলা হয়েছে, এই পোশাকটির আছে ‘একটা ধাতব অনুভূতি ও বহিরাবয়ব’। আর এটা সম্ভব হয়েছে ত্রি-মাত্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ( outfit "has a metallic feel and look" that utilizes 3-D technology.)।

মিস ইউনিভার্স থাইল্যান্ডের মুখপাত্র কাভিরাত কুনাপাত (Kaveerat Kunapat) জানালেন, একটামাত্র পোশাকই বানিয়েছেন তারা। আর, দেখতে অবিকল টুক-টুকের মতোন এই টুক-টুক ড্রেসটি সকলের চোখ ধাঁধাবে।  

নজরকাড়া পোশাকটি এমনভাবে বানানো হয়েছে যে, এতে সংযোজিত করা হয়েছে একটা নীলরঙা বাস্টিয়ার (bustier-- মেয়েরা পরে লিংগারির মতো দেখতে এক ধরনের পোশাক), হাই ব্ল্যাক টাইটস সম্বলিত মিনি স্কার্ট, পোশাকের ঠিক নিচের দিকটায় একটা হ্যান্ডলবারসমেত একটা সেন্ট্রাল হেডলাইট। কস্টিউমটার সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে থাইল্যান্ডের তিনটা জাতীয় রঙের (লাল, শাদা আর নীল) আবহ ---সেই সঙ্গে ৬টা জাতীয় পতাকা, এক ডজনের মতো হেড লাইট আর একটা ওভারহেড ব্যানার। আর ব্যানারটাতে লেখা থাকবে ‘‘থাইল্যান্ড’’।  

চারুকলার স্বনামধন্য অধ্যাপক, ফ্যাশন ডিজাইনার এবং থাই-সুন্দরী স্বয়ং আনিপর্ন চালেরম্বুরানাওংসহ ৫ সদস্যের একটা কমিটি গতানুগতিক জাতীয় পোশাকের স্থলে অভিনব এক পোশাকের মাধ্যমে থাই ঐতিহ্যকে তুলে ধরার ব্যাপারে একমত হন। এরই ফল এই অভিনব ‘টুক-টুক’ পোশাক----যা একাধারে ঐতিহ্য ও আধুনিকতা দুটোকেই ফুটিয়ে তুলেছে ব্যতিক্রমী জেল্লায়। জয়তু টুক-টুক!

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৫
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।