দেশব্যাপী সৃজনশীল প্রতিভা অন্বেষণের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। প্রচলিত মেধাবৃত্তির মাধ্যমে প্রকৃত প্রতিভা খুঁজে বের করা সম্ভব হয় না বলে সরকার এই ধরনের ট্যালেন্ট হান্ট শুরু করতে যাচ্ছে বলে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তাঁর বাজেট বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
এই ধরনের ট্যালেন্ট হান্টের আওতায় ভাষা ও সাহিত্য, গণিত, বিজ্ঞান ও কমপিউটার বিষয় হিসেবে থাকবে। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এক ঝাঁক ‘জাতীয় প্রতিভা’ খুঁজে পাওয়া যাবে বলেও অর্থমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এরা নবীন প্রজন্মের মাঝে আইকন হিসেবে অনুপ্রেরণা জোগাবে এবং একবিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশ গঠনে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেবে। ’
তাঁর বাজেট বক্তৃতায় তিনি শিক্ষাক্ষেত্রে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে জেন্ডার বৈষম্য বিলোপ করে ছেলে-মেয়ে শিক্ষার্থীর মধ্যে সমান-সমান অর্জনে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শ্রীলংকার পরেই বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে বলে জানান। সেই সাথে গ্রামাঞ্চলে এবং কোনো কোনো সময় শহরেও গণিত, বিজ্ঞান, ইংরেজির দক্ষ শিক্ষকের অভাব দেখা যায়। এজন্য সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরী বলেও তিনি মত দেন।
নতুন উদ্যোগ হিসেবে আগামী অর্থবছরে শিক্ষাখাতে “প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ফাউন্ডেশন” শিরোনামে সরকারি-বেসরকারি অর্থায়নে একটি ফাউন্ডেশনের তহবিল গঠিত হতে যাচ্ছে। যেখানে সরকার বীজ-অর্থের একটি অংশ প্রদান করবে।
মূলত ৬ষ্ঠ থেকে স্নাতক শ্রেণী পর্যন্ত গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান এবং বিনাবেতনে অধ্যায়নের সুবিধা প্রদান করাই হবে এই ফাউন্ডেশনের প্রধান কাজ। এবং আগামী অর্থ বছর এই ফাউন্ডেশনের তহবিল গঠনের জন্য বাজেটে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ।
উল্লেখ্য, জাতিকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরিত করতে সরকারের ‘রূপকল্প ২১’- এর অংশ হিসেবে এবার ২০১১-১২ অর্থ বছরে মানবসম্পদ খাতে সর্বমোট ৩৪ হাজার ১৫০ কোটি বরাদ্দ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সামগ্রিক শিক্ষাখাত এর আওতায় পড়বে।
বাংলাদেশ সময় ২০৩০ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১১