ঢাকা, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসে এই দিন

বিভূতিভূষণের জন্ম, শাহ আবদুল করিমের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৬
বিভূতিভূষণের জন্ম, শাহ আবদুল করিমের প্রয়াণ

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে।

প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার অভিশাপ-আশীর্বাদ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬, সোমবার। ২৮ ভাদ্র, ১৪২৩ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
•    ১৮৭৮ - ব্রিটিশ সেনারা সাইপ্রাস দখল করে।
•    ১৯১৫ - ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার অভিযোগে গদর পার্টির ২৪ কর্মীর ফাঁসি হয়।
•    ১৯২৪ - চীনে গৃহযুদ্ধ বাঁধে।
•    ১৯৫৯ - সোভিয়েত মহাকাশযান লুনিক-২ চাঁদে অবতরণ করে।
•    ১৯৭৪ - সামরিক অভুত্থানে ইথিওপিয়ার সম্রাট হাইলে সেলাসি ক্ষমতাচ্যুত হন।
•    ১৯৯০ - মস্কোয় দুই জার্মানির একত্রীকরণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
•    ১৯৯৩ - যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে ইসরায়েল ও পিএলও ফিলিস্তিনিদের সীমিত স্বায়ত্বশাসন সংক্রান্ত ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর।

ব্যক্তি
•    ১৮৯৪ - বাঙালি কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম। তিনি মূলত উপন্যাস ও ছোটগল্প লিখে খ্যাতি অর্জন করেন। ‘পথের পাঁচালী’ ও ‘অপরাজিত’ তার সবচেয়ে বেশি নন্দিত উপন্যাস। এছাড়া ‘আরণ্যক’, ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’, ‘ইছামতী ও ‘অশনি সংকেত’ও উল্লেখযোগ্য। উপন্যাসের পাশাপাশি বিভূতিভূষণ প্রায় ২০টি গল্পগ্রন্থ, কয়েকটি কিশোর উপন্যাস ও কয়েকটি ভ্রমণকাহিনীরচনা করেন। তার ‘পথের পাঁচালী’ উপন্যাস অবলম্বনে সত্যজিৎ রায় নির্মিত চলচ্চিত্রটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমাদৃত হয়। তিনি ১৯৫০ সালের ১ নভেম্বর প্রয়াত হন।
•    ১৮৯৭ - প্রখ্যাত ফরাসি রসায়নবিদ ও পদার্থবিদ এরিন জুলিও কুরির জন্ম।
•    ১৯৮১ - নোবেলজয়ী ইতালিয়ান সাহিত্যিক ইউজিনিও মন্তালের মৃত্যু।
•    ১৯২৩ - বাঙালি কবি এবং অনুবাদক অরুণাচল বসুর জন্ম
•    ২০০৯ - বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের প্রয়াণ। ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেওয়া আবদুল করিম শৈশব থেকেই সংগীত সাধনা শুরু করেন। সুনামগঞ্জের কালনী নদীর তীরের জনপদে বেড়ে ওঠা এই বাউল শিল্পীর গান প্রথম থেকেই ভাটি অঞ্চলে জনপ্রিয় হলেও নগরের মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পায় তার মৃত্যুর কয়েক বছর আগে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি প্রায় দেড় সহস্রাধিক গান লিখেছেন। তার রচিত গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘বন্দে মায়া লাগাইছে, পিরিতি শিখাইছে’, ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘রঙ এর দুনিয়া তরে চায় না’, ‘ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ুরপঙ্খী নাও’, ‘আমি কূলহারা কলঙ্কিনী’, ‘কেমনে ভুলিবো আমি বাঁচি না তারে ছাড়া’, ‘কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু’, ‘মন মজালে, ওরে বাউলা গান’, ‘নতুন প্রেমে মন মজাইয়া’, বসন্ত বাতাসে সইগো‘, ‘বন্ধুরে কই পাব’, ‘আসি বলে গেল বন্ধু আইলো না’ ইত্যাদি। শাহ আবদুল করিম ২০০১ সালে একুশে পদক লাভ করেন। বাংলা একাডেমি তার দশটি গানের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করে।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৬
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।