বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যামেরা আমাদের মুখ দেখেই বলে দিতে পারবে যে আমরা মিথ্যা বলছি কিনা। এই পদ্ধতিতে কম্পিউটারের সঙ্গে একটি সাধারণ ভিডিও ক্যামেরা যুক্ত থাকবে।
গবেষকরা বলছেন, এই পদ্ধতি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ধরনের সহায়কের ভূমিকা পালন করতে পারবে। গবেষক দলের প্রধান ব্রাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হাসান আগেইল জানান, দুই-তৃতীয়াংশ ঘটনার ক্ষেত্রেই এটা সফলতার সঙ্গে মিথ্যা ধরে ফেলতে সক্ষম হবে।
ব্রাডফোর্ড এবং আবেরসটুয়িথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল ব্রিটেনের সীমান্ত সংস্থার সহযোগিতায় এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। ব্রাডফোর্ড বিজ্ঞান উৎসবে এই পদ্ধতি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়।
কয়েক বছরের গবেষণার ফলেই এই পদ্ধতির উদ্ভাবন হয়েছে। এর ফলে এটা জানা সম্ভব হবে যে, আমরা কীভাবে অসচেতন এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে বাচনভঙ্গির পরিবর্তনের মাধ্যমে ভেতরের অনুভূতিকে প্রকাশ করি।
চোখের নড়াচড়া, চোখের পলক ফেলা, ঠোঁট কামড়ানো, নাক কুঁচকানো, ঘন ঘন নিশ্বাস ফেলা, ঢোক গেলা ইত্যাদির মাধ্যমে আমাদের ভেতরের অনুভূতি প্রকাশিত হয়ে পড়ে। এগুলো সবই ক্যামেরার চোখে ধরা পড়ে।
এমনকি চোখের মণির চারপাশে রক্তবাহী শিরাগুলোও আমাদের সঙ্গে প্রতারিত করে আর ক্যামেরার থার্মাল সেন্সরকে তা ফাঁকি দিতে পারে না।
তবে এখন পর্যন্ত এটা স্বেচ্ছাসেবীদের ওপরই প্রয়োগ করা হয়েছে। সত্যিকার অপরাধীদের ওপর প্রয়োগ করা হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১১