ওয়াশিংটন: যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে সন্তান জন্মহারেও। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক মন্দার পর গত কয়েক বছরে দেশটিতে মানুষের সন্তান জন্মহার উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে কমেছে।
গত ১২ অক্টোবর প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৭ সাল থেকেই জন্মহার কমছে। ওই সময় জন্মহার ছিল রেকর্ড পরিমাণ বেশি। ওই বছর জন্ম নেওয়া নিবন্ধিত শিশুর সংখ্যা ছিল ৪৩ লাখ ১৬ হাজার ২৩৩টি।
প্রাথমিক উপাত্তে দেখা যাচ্ছে ২০১০ সালে মোট জন্ম নেওয়া শিশুর সংখ্যা ৪০ লাখের কিছু বেশি। অর্থনৈতিক এবং জনমিতির বহুগুণিক তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি এসব তথ্য দিয়েছে।
তাদের বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, জন্মহার কমে যাওয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক মন্দার একটি ধনাত্বক সম্পর্ক রয়েছে। বর্ণ ও নৃতত্ত্ব ভেদে এর প্রভাব একই ধরনের।
তবে বিশেষ করে হিস্পানিক, যারা অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কাটা সবচে বেশি পেয়েছেন, তাদের জন্মহার যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান তিনটি বর্ণ ও নৃতাত্ত্বিক গ্রুপের মধ্যে সবচে বেশি কমেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে হিস্পানিক নারীদের জন্মহার কমেছে ৫.৯ শতাংশ, কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের কমেছে ২.৪ শতাংশ এবং শেতাঙ্গীদের কমেছে ১.৬ শতাংশ।
তবে যুক্তরাষ্ট্রে জনসংখ্যা বৃদ্ধি কিন্তু থেমে থাকেনি। আরেকটু ভাল জীবনযাপনের আশায় সারা বিশ্ব থেকে আসা অভিবাসীদের কারণে এই বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
পিউ রিসার্চ সেন্টার হচ্ছে একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন ইস্যু, মানুষের মনোভাব এবং প্রবণতা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে। ফিলাডেলভফিয়া ভিত্তিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান দ্য পিউ চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সহপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০০৪ সালে পিউ রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১১