ঢাকা: এ বছর অগ্নিযুগের ১৫ বিপ্লবীর জন্মের শতবর্ষ চলছে। ১৯১১ সালে এই ১৫ বিপ্লবী জন্মগ্রহণ করেন।
রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘বিপ্লবীদের কথা’ নামে একটি পত্রিকা ও ওয়েবসাইট।
আলেচনা অনুষ্ঠানে সংহতি প্রকাশ করতে আসেন তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোজাহেদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, তেল গ্যাস রক্ষা বন্দর জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিপ্লবী দীনেশ গুপ্ত, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, বীণা দাস, সরোজ মুখার্জী, বারীণ দত্তের জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, সাপ্তাহিক একতার সম্পাদক শাহীন রহমান, অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, শংকর ভট্টাচার্য।
মুহাম্মদ হাবীবুর রহমান বলেন, আমাদের চলার পথে অনেক বাধা। অনেক বাধা অতিক্রম করে এ পর্যন্ত এসেছি। পৃথিবীজুড়ে পরিবর্তনের তোলপাড়। আবহ সৃষ্টি হয়েছে। এখন নিজেদের তাগিদে সঠিক পথ অনুসরণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অগ্নিযুগের বিপ্লবীরা শুধু প্রাণ দিয়ে যাননি। তারা সফলও হয়েছেন তাদের চিন্তা ও আর্দশকে প্রতিষ্ঠা করতে। তাই তাদের জীবন থেকে হতাশার কোনও প্রাপ্তি নেই। তাদের জীবন আমাদের উৎসাহ দেয়।
মোজাহেদুল ইসলাম সেলিম বলেন, দেশপ্রেমের শিখা পুঁজিবাদের বিশ্বায়নের ঝাপটায় নির্বাসিত। তাই এই বিপ্লবীদের স্মরণ তখনই সার্থক হয়ে উঠবে যখন অগণিত তরুণ-তরুণীর হৃদয় দেশপ্রেমের চেতনায় শানিত হবে।
অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘কেউ কেউ বলেন বিপ্লবী প্রজন্মের বিপ্লবীরা ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু এটা ঠিক নয়। তাদের ওই অভিজ্ঞতা পরবর্তীতে নতুন সংগ্রাম ও সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। ’
এর আগে অনুষ্ঠান শুরু হয় বিপ্লবীদের স্মরণে এক মিনিটের নীরবতা পালনের মাধ্যমে। গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন।
জন্মের শতবর্ষ পেরোনো অন্য বিপ্লবীরা হলেন- বিপ্লবী বিনোদবিহারী চৌধুরী, বিনয় চৌধুরী, গোপাল বসু, প্রাণকৃঞ্চ, চক্রবর্তী, জ্যোতিরিন্দ্র মৈত্র, প্রমথনাথ নন্দী, বিপ্লবী সুধা রায়, ত্রিদিব চৌধুরী, চঞ্চল কুমার শর্ম্মা, সুধী প্রধান।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১১